নিউজ ডেস্ক// অন্য জেলা থেকে আসা ৫ ব্যক্তির শরীর থেকে লালমনিরহাটে ১৪ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের পরিবারের ৭ সদস্য এবং তিন স্বাস্থ্যকর্মী।
কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নানা দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নেয়া হয়েছে বাড়তি উদ্যোগ।
৯ই এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার গুড়িয়াদহ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরেন কামরুল ইসলাম।পরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। দুই দিন পর তার সাত বছরের সন্তানের শরীরেও মেলে করোনার উপস্থিতি।
দীর্ঘ ২৩ দিন আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন কামরুল। কিন্তু, আক্রান্ত হন তাকে চিকিৎসা দেয়া এক স্বাস্থ্যকর্মী।
এদিকে, গাজীপুরফেরত আদিতমারীর আরেক বাসিন্দার করোনা শনাক্ত হয় ২৭শে এপ্রিল। পরে আক্রান্ত হন তার পরিবারের আরও ছয় সদস্য। তাদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে সংক্রমিত হন দুই স্বাস্থ্যকর্মী। এছাড়া হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ও আদিতমারীতে আক্রান্ত আরও তিনজনও বাড়ি ফিরেছিলেন অন্য জেলা থেকে।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে, লালমনিরহাট জেলাবসীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানাবো, আমরা সকলে যেন সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার চেষ্টা করি। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাই।’
এদিকে, হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রবেশ ও বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলার প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের তাপমাত্রা পরিমাপও করছেন তারা। মনোবল চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি তাদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছেন পুলিশ সুপার।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, জেলা পুলিশের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে, তাদেরকে পিপিই পরিয়ে এবং সুরক্ষা সামগ্রী যেগুলো আছে সেগুলো মেনে এই চেক পোষ্টগুলো আমরা করছি।
ঈদ সামনে রেখে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।