ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি অমান্য করার ৯ টি প্রতিষ্ঠান এবং ১১ জন ক্রেতাকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:২১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০
  • ৮৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন।।বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কারখানাসমূহ খোলা রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায়, বরিশালের প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা যাচাইকল্পে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন দোকান, শপিং মল এবং কারখানা পরিদর্শন করছে বরিশাল জেলা প্রশাসনের ৪ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১৫ মে শুক্রবার সকালে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার, চকবাজার, বাজার রোড, কাটপট্টি, ফলপট্টি, গীর্জা মহল্লা ,বটতলা ও পুলিশ লাইন, সদর রোড এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার দর মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তেগীর।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি প্রতিপালন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা কালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে টহল অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হয়। বরিশাল নগরীর কাঠপট্টি, চকবাজার ও গির্জামহল্লা এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। অভিযানকালে স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটায় আসার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করায় তিনজন ব্যক্তিকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৫(২) ধারায় ২৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় হয়।

এছাড়াও চকবাজার এলাকার ৬টি দোকান মালিককে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে একই আইনে ২৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অপরদিকে বরিশাল নগরীর সদর রোড, বগুড়া রোড ও বটতলা মোড়ে অবস্থিত পোশাকের দোকানগুলোতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। অভিযানকালে সদর রোডস্থ ইজি ফ্যাশন এবং বগুড়া রোডে বাংলাদেশ ব্যাংক সংলগ্ন বিটু ফ্যাশন হাউজে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটায় আসার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি তৈরি করার অপরাধে তিনজন ব্যক্তিকে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় মোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে গীর্জামহল্লা ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফ দস্তেগীর এসময় তিনি সংক্রামক রোগ আইন ২০১৮ অনুযায়ী ৩ টি দোকানকে অতিরিক্ত ক্রেতা সমাগম ও ৪ জন ব্যক্তিকে শিশুসহ কেনাকাটা করার অপরাধে মোট ১৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

বরিশাল নগরীর পুলিশ লাইন, সদর রোড, গির্জা মহল্লা ও নতুন বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মনিটরিং ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন। এসময় স্ত্রী ও ২ বাচ্চাসহ একই পরিবারের ৫ জন একসংগে কেনাকাটা করতে আসার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ বিস্তার রোধে সরকারী নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ মোতাবেক একজনকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এ সচেতনতামূলক কার্যক্রম জনস্বার্থে অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন।

অভিযানে আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের তিনটি টিম এবং র‍্যাব-৮ বরিশাল এর একটি টিম। ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান কর্তব্যরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

বরিশালে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি অমান্য করার ৯ টি প্রতিষ্ঠান এবং ১১ জন ক্রেতাকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা।

আপডেট সময় : ১১:২১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদন।।বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কারখানাসমূহ খোলা রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায়, বরিশালের প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা যাচাইকল্পে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন দোকান, শপিং মল এবং কারখানা পরিদর্শন করছে বরিশাল জেলা প্রশাসনের ৪ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১৫ মে শুক্রবার সকালে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার, চকবাজার, বাজার রোড, কাটপট্টি, ফলপট্টি, গীর্জা মহল্লা ,বটতলা ও পুলিশ লাইন, সদর রোড এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার দর মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তেগীর।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি প্রতিপালন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা কালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে টহল অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হয়। বরিশাল নগরীর কাঠপট্টি, চকবাজার ও গির্জামহল্লা এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। অভিযানকালে স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটায় আসার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করায় তিনজন ব্যক্তিকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৫(২) ধারায় ২৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় হয়।

এছাড়াও চকবাজার এলাকার ৬টি দোকান মালিককে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে একই আইনে ২৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অপরদিকে বরিশাল নগরীর সদর রোড, বগুড়া রোড ও বটতলা মোড়ে অবস্থিত পোশাকের দোকানগুলোতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। অভিযানকালে সদর রোডস্থ ইজি ফ্যাশন এবং বগুড়া রোডে বাংলাদেশ ব্যাংক সংলগ্ন বিটু ফ্যাশন হাউজে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটায় আসার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি তৈরি করার অপরাধে তিনজন ব্যক্তিকে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় মোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে গীর্জামহল্লা ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফ দস্তেগীর এসময় তিনি সংক্রামক রোগ আইন ২০১৮ অনুযায়ী ৩ টি দোকানকে অতিরিক্ত ক্রেতা সমাগম ও ৪ জন ব্যক্তিকে শিশুসহ কেনাকাটা করার অপরাধে মোট ১৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

বরিশাল নগরীর পুলিশ লাইন, সদর রোড, গির্জা মহল্লা ও নতুন বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মনিটরিং ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন। এসময় স্ত্রী ও ২ বাচ্চাসহ একই পরিবারের ৫ জন একসংগে কেনাকাটা করতে আসার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ বিস্তার রোধে সরকারী নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ মোতাবেক একজনকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এ সচেতনতামূলক কার্যক্রম জনস্বার্থে অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন।

অভিযানে আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের তিনটি টিম এবং র‍্যাব-৮ বরিশাল এর একটি টিম। ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান কর্তব্যরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ।