ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুরের আকাশ থেকে আরেকটি তারকা খসে পড়ল

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০
  • ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী আজাদ রহমান চলে গেলেন। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
চলচ্চিত্র পরিচালক গুলজার আহমেদ জানিয়েছেন আজাদ রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
আজাদ রহমান উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও খেয়াল গানের চর্চার পাশাপাশি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অনন্য অবদান রেখেছেন।
ষাটের দশকের শুরুতে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন আজাদ রহমান। সেই চলচ্চিত্রে তার সুরে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জি ও প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার সুরকৃত প্রথম চলচ্চিত্র বাবুল চৌধুরীর আগন্তুক। তাঁর সুর ও নিজের কণ্ঠে গাওয়া ‘ভালবাসার মূল্য কত’, ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের ‘করো মনে ভক্তি মায়ে’, দস্যু বনহুর চলচ্চিত্রের ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’ গানগুলো সত্তরের দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’-এর মত কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন।
‘ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই’, ‘মনেরও রঙে রাঙাব’, ‘এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি।
তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

সুরের আকাশ থেকে আরেকটি তারকা খসে পড়ল

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী আজাদ রহমান চলে গেলেন। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
চলচ্চিত্র পরিচালক গুলজার আহমেদ জানিয়েছেন আজাদ রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
আজাদ রহমান উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও খেয়াল গানের চর্চার পাশাপাশি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অনন্য অবদান রেখেছেন।
ষাটের দশকের শুরুতে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন আজাদ রহমান। সেই চলচ্চিত্রে তার সুরে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জি ও প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার সুরকৃত প্রথম চলচ্চিত্র বাবুল চৌধুরীর আগন্তুক। তাঁর সুর ও নিজের কণ্ঠে গাওয়া ‘ভালবাসার মূল্য কত’, ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের ‘করো মনে ভক্তি মায়ে’, দস্যু বনহুর চলচ্চিত্রের ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’ গানগুলো সত্তরের দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’-এর মত কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন।
‘ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই’, ‘মনেরও রঙে রাঙাব’, ‘এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি।
তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।