ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রয়লার মুরগি খেলে কাজ করবে না অ্যান্টিবায়োটিক!

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯
  • ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ ব্রয়লার মুরগি, যা আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য সাধারণ মানুষের অন্যতম খাদ্য উপাদান পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই মুরগি কি আসলেই আমাদের জন্য উপকারী? একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে ব্রয়লার মুরগি মানুষের দেহের জন্য একদমই ভালো নয়। তবে বর্তমান সময়ে সপ্তাহে অন্তত দু’টো দিন মুরগির মাংস না হলেই নয়। আর ঝটপট রান্না কিংবা চিকেন ফ্রাইয়ের জন্য তো এর বিকল্পই হয় না।

তবে সম্প্রতি লন্ডনের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজিম-এর চালানো একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পোল্ট্রি খামারে মুরগির খাবারের সঙ্গে উচ্চ মাত্রায় কোলিস্টিন নামের একটি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। তাই বাজারের প্রায় সব প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংসেই উচ্চ মাত্রায় কোলিস্টিনের উপস্থিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই গবেষণায়।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের যে বিধি-নিষেধ রয়েছে, তা যে কোনও ভাবেই মানা হচ্ছে না বলেও জানা যায় ওই গবেষণায়।

আর এর ফলেই অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধই সুপারবাগ বা বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। অর্থাৎ, মুরগি খাওয়ার ফলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে আর কোনও কাজ হবে না। অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধই শরীরে কোনও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে না। ফলে কোনও কারণে অসুস্থ হলে সেরে ওঠা খুব কঠিন হয়ে পড়বে।

প্রায় সব পোল্ট্রি খামারেই মুরগির স্বাস্থ্য দ্রুত বাড়াতে, বেশি মাংস পেতে মুরগির খাবারের সঙ্গে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়।এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যক্ষমতা দিনে দিনে হ্রাস পেতে থাকে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

ব্রয়লার মুরগি খেলে কাজ করবে না অ্যান্টিবায়োটিক!

আপডেট সময় : ১২:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ ব্রয়লার মুরগি, যা আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য সাধারণ মানুষের অন্যতম খাদ্য উপাদান পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই মুরগি কি আসলেই আমাদের জন্য উপকারী? একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে ব্রয়লার মুরগি মানুষের দেহের জন্য একদমই ভালো নয়। তবে বর্তমান সময়ে সপ্তাহে অন্তত দু’টো দিন মুরগির মাংস না হলেই নয়। আর ঝটপট রান্না কিংবা চিকেন ফ্রাইয়ের জন্য তো এর বিকল্পই হয় না।

তবে সম্প্রতি লন্ডনের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজিম-এর চালানো একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পোল্ট্রি খামারে মুরগির খাবারের সঙ্গে উচ্চ মাত্রায় কোলিস্টিন নামের একটি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। তাই বাজারের প্রায় সব প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংসেই উচ্চ মাত্রায় কোলিস্টিনের উপস্থিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই গবেষণায়।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের যে বিধি-নিষেধ রয়েছে, তা যে কোনও ভাবেই মানা হচ্ছে না বলেও জানা যায় ওই গবেষণায়।

আর এর ফলেই অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধই সুপারবাগ বা বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। অর্থাৎ, মুরগি খাওয়ার ফলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে আর কোনও কাজ হবে না। অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধই শরীরে কোনও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে না। ফলে কোনও কারণে অসুস্থ হলে সেরে ওঠা খুব কঠিন হয়ে পড়বে।

প্রায় সব পোল্ট্রি খামারেই মুরগির স্বাস্থ্য দ্রুত বাড়াতে, বেশি মাংস পেতে মুরগির খাবারের সঙ্গে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়।এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যক্ষমতা দিনে দিনে হ্রাস পেতে থাকে।