ধানসিঁড়ি নিউজ।। বরিশালে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি অমান্য বাজার দর, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা সহ অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার দায়ে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কল-কারখানা এবং শপিংমলসমূহ খোলা রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায়, বরিশালের প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা যাচাইকল্পে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন দোকান,শপিংমল এবং কারখানা পরিদর্শন হচ্ছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের শপিংমল সমূহে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষন পরিলক্ষিত না হওয়ায় আজ থেকে আবার পূনরায় বরিশাল জেলা প্রশাসন শপিংমল দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেন।
আজ বরিশাল জেলা প্রশাসনের ৩ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বরিশাল মহানগরীতে তাদের অভিযান পরিচালনা কালে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি অমান্য করার ১২ টি প্রতিষ্ঠান এবং ১ জন ব্যক্তিকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১৯ মে মঙ্গলবার সকালে বরিশাল নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, কাটপট্টি, ফলপট্টি, গীর্জা মহল্লা, সদর রোড, নতুন বাজার, চৌমাথা বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার দর মনিটরিং এর পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজ এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি প্রতিপালন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা কালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে টহল অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সচেতনামূলক মাইকিং করা হয়। বরিশাল নগরীর কাটপট্টি, চকবাজার ও গির্জামহল্লা, বাজার রোড, নতুন বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা। অভিযানকালে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটায় আসার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি নতুন করে পূনরায় লকডাউন করায় দোকান খোলা রাখার অপরাধে ১টি দোকানকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপরদিকে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে নগরীর মহসিন মার্কেট, চকবাজার, গির্জামহল্লা, সদর রোড, কাকলির মোড়, বগুড়া রোড ও বটতলার মোড় এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে ৮ টি দোকানে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে বরিশাল শহরের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজ। প্রচুর লোক সমাগম করে সরকারি নিদের্শনা অমান্য করে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে দোকান খোলা রাখার অপরাধে ৩ টি দোকান এবং ১ জন ব্যক্তি কে দণ্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী ১৪ হার ৫০০ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সবাই কে সরকারি আদেশ মেনে চলার অনুরোধ করা হয়।
মোবাইল কোর্টকে আইনানুগ সহযোগিতা প্রদান করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ২টি টিম এবং র্যাব-৮ এর ১ টি টিম। ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান কর্তব্যরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।