সাইফুল ইসলাম: “মানুষ মানুষের জন্য” এই সত্যকে সামনে রেখে জাগৃহী খেলাঘর আসর, বিএম কলেজ রোড, বরিশাল -এর পক্ষ থেকে প্রান্তিক পর্যায় স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ৩৫টি পরিবারের ৩৫টি শিশুর হাতে তুলে দিয়েছে ঈদ (খাদ্য সামগ্রী) উপহার।
দেশের বর্তমান করোনা সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর প্রভাব বিরাজমান। ঈদ উৎসব দ্বারপ্রান্তে, এবারে করোনা ভাইরাসের কারণে ঈদ উৎসবের ব্যাপ্তি একেবারেই অনাড়ম্বর, শিশুরা তো আর তা বুঝেনা। যারা মোটামুটি স্বচ্ছল তারা নিজ নিজ ঘরে শিশুদের সীমিতভাবে হলেও ঈদ আনন্দ দিতে পারবেন কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ের পরিবারের পক্ষে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের শিশুদের সামান্যতম ঈদ আনন্দ দিতে সমর্থ নাও হতে পারেন। সেই ভাবনা থেকেই জাগৃহী খেলাঘর আসরের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী শিশুসহ ৩৫টি শিশুকে সামান্য ঈদ উপহার তুলে দিয়েছে।
জাগৃহী খেলাঘর আসরের কার্যকরী কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকমন্ডলীর কাছে ঈদ উপহার বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, “আমাদের দেশে পবিত্র ঈদ সার্বজনিন উৎসব হিসেবেই আড়ম্বরভাবে পালিত হয়। কিন্তু এবারে করোনা সংকটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের, খেটে খাওয়া মানুষের কাজকর্ম না থাকায় তাদের অনেকের পক্ষেই তাদের সন্তানদের সামনে ঈদের সামান্যতম খাদ্য সামগ্রী হয়তো দিতে সমর্থ হবেন না। তাই আমরা খুব বেশি না হলেও স্বল্প পরিসরে ৩৫টি পরিবারের ৩৫টি শিশুর হাতে ঈদ উপহার তুলে দিতে চেষ্টা করেছি। যাতে শিশুরা সামান্যতম আনন্দ পায়।” কমিটি আরও বলেন, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে আশপাশের দরিদ্র শিশুদের ততটুকু আনন্দ দিতে সচেষ্ট থাকা আবশ্যক।
এই কার্যক্রম সফল করতে খেলাঘরের সাবেক ও বর্তমান কর্মী, উপদেষ্টামন্ডলী এবং সভাপতি ও সম্পাদকমন্ডলীর সহযোগিতা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, সঞ্জয় দাস বাবু, আনোয়ার জাহান সুমন, এহসান হাবিব রনি, আসিফ ইকবাল রুশো, ইদ্রিস মিয়া সবুজ (সবুজ মামা), শহিদুল ইসলাম মন্টু, এমদাদুল হক টিপু, নওরোজ কবির টুকু প্রমুখ। তাঁরা ভবিষ্যতেও খেলাঘরের পক্ষ থেকে এ ধরণের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশা ব্যাক্ত করেছেন এবং কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।