ধানসিঁড়ি নিউজ।।বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত ছিল।
দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কল-কারখানা এবং শপিংমলসমূহ খোলা রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে শপিংমল সমূহে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষন পরিলক্ষিত না হওয়ায় আবার পূনরায় বরিশাল জেলা প্রশাসন শপিংমল দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেন।
এমতাবস্থায়, বরিশালের প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা যাচাইকল্পে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় বিভিন্ন দোকান, শপিংমল,বাজার এবং কারখানা পরিদর্শন করছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২২ মে শুক্রবার সকালে বরিশাল নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, কাটপট্টি, ফলপট্টি, গীর্জা মহল্লা, সদর রোড, নতুন বাজার, চৌমাথা বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার দর মনিটরিং এর পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি প্রতিপালন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা কালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে টহল অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সচেতনামূলক মাইকিং করা হয়।
অভিযানকালে স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটায় আসার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করায় ১৪ জন ক্রেতাকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৫(২) ধারায় ৫০০ টাকা করে মোট ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় হয়।
এসময় আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের একটি টিম। ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান কর্তব্যরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়।