মোঃ আবুল কালাম তালুকদার স্যারের টাইমলাইন থেকে সরাসরিঃ
কোন অধিভুক্ত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র হিসেবে নয়, সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ছাত্র হিসেবে আজকের এ দুর্ঘটনায় দারুণভাবে মর্মাহত এবং একই সাথে আশাহতও বটে। ঢাকার লাল বাসে চড়ার স্বপ্ন দেখেননি এমন ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। ঢাকার বুক চিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসগুলো কেবল দাপিয়েই বেড়ায় না, শিক্ষার্থী পরিবহনই করে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই করে না; বরং স্বপ্নও ফেরি করে বেড়ায়। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অলঙ্কৃৃত ক্ষণিকা, চৈতালি, বৈশাখী-বসন্ত, উয়ারী-বটেশ্বর, হেমন্তসহ একঝাঁক লাল বাস যখন ঢাকার রাস্তায় চলে, তখন হাজার হাজার কিশোর-কিশোরীর মনে স্বপ্ন জাগায়; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে একজন সুনাগরিক হওয়ার প্রেরণা যোগায়। যারা এ বাসে ছাত্রজীবনে চড়েছেন তাদের সুখ এবং যারা কোন কারণে চড়তে পারেননি তাদের দু:খের অনুভূতি ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন মাত্রার। প্রেরণাদায়ী, আবেগময়ী ভালোলাগা ভালোবাসার বস্তুটি চলার পথে ছন্দপতন, হঠাৎ ব্রেক ফেইল। ঘটে যেতে পারতো ইতিহাসের আর একটি মর্মান্তিক ঘটনা। পবিত্র মাহে রমজানের জন্য হয়তো মহান আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কিন্তু অবুঝ ব্যাকুল মন জানতে চায়, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে তো আমরা ক্রমান্বয়ে নিন্মগামী হচ্ছি। বিশ্বের ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরা নেই, মানলাম এ স্থান নির্ধারণ নিয়ে নানা তর্ক বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু ঐতিহ্যবাহী লাল বাস কয়েকটা নতুন করে কেনার সামর্থও কী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই! যদি না থাকে তাহলে তো অশণি সংকেত; কে জানে কখন জানি ফেরি করা স্বপ্নগুলো ফেরিতেই না ডুকরে মরে!!
অকুস্থল: কারওয়ান বাজার(হোটেল সোনারগাঁ এর সম্মুখভাগ)
(ঢাকা: ১২/০৫/২০১৯)