নিজস্ব প্রতিবেদন: বরিশাল এর মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ওরফে আলাউদ্দিন-কে শারীরিক নির্যাতন ও জুতার মালা পড়িয়ে অপমান করার ঘটনার মূলহোতা দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ি এবং ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বর মোঃ শহীদ দেওয়ান-কে ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আজ মঙ্গল বার স্থানীয় সরকার উপসচীব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১)অনুযায়ী মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর কে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারী করেন।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ: বরিশাল জেলাধীন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী ও তার পরিষদের মেম্বররা মিলে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মধ্য দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা’র বয়োবৃদ্ধ শিক্ষক ও অত্র এলাকার সিকদার বাড়ী জামে মসজিদের ইমাম তিন সন্তানের জনক মাওলানা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম হুজুরকে ০৩/০৬/২০২০ইং তারিখ সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় তার বসত বাড়ি থেকে ধরে পিছনে দু’হাত বেঁধে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
সেখানে দিনভর বিচারের নামে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। বিকেল অনুমান ৫ ঘটিকা পর্যন্ত আটকিয়ে রেখে উপর্ষুপরি অপমান অপদস্ত করে এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শিক্ষক উক্ত জরিমানার টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার অনুগত মেম্বাররা মিলে পরিষদের চারিদিকে উৎসুক জনতার সম্মুখে হুজুরের গলায় জুতার মালা পড়িয়ে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালায়। এমনকি অনেক অনুনয় বিনয় করা সত্বেও চেয়ারম্যান ও তার পরিষদের লোকজন হুজুরকে জোহরের নামাজও আদায় করার সুযোগ দেন নাই।
ঐ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সকল স্তরে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠে এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিচার দাবী তোলে প্রশাসনের নিকট।
প্রাথমিকভাবে স্থানীয় তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় জনস্বার্থে এ আদেশ জারী করে তা দ্রুত কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।