সাইফুল ইসলাম: দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি সঠিকভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন তাহলে সাধারণ-প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ তার সুফল পাবেই এবং তারা স্বপ্ন দেখতেই পারে। গ্রামীন-প্রান্তিক পর্যায়ের দুস্থ পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আর তা সফল করতে নিরলস ও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে কয়েকটি দুস্থ পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তার মাধ্যমে তারই স্বাক্ষর রেখেছেন।
১০ জুন বুধবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে এসিড দগ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী পাঁচ জন ব্যক্তির মাঝে নগদ ২০,০০০/- (কুড়ি হাজার) টাকা হারে মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা এবং গ্রামীণ অসহায় দুস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাতৃকেন্দ্র ক্ষুদ্র ঋণ হিসাবে বিভিন্ন উপকারভোগীর মাঝে মোট ১০,৫০,০০০/- (দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বিতরণ করা হয়। সকাল ১০টা নাগাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাছাইকৃত উপকারভোগীদের মাঝে এ ঋণের টাকা তুলে দেন৷ এ সময় স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ অন্যান্য দপ্তরের দু’একজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন৷
করোনার এই দূর্যোগের সময় ১১,৫০,০০০/- (এগারো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা উপকারভোগী পরিবারগুলোর মাঝে এক নতুন কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আয়শার স্বামী এই অর্থ দিয়ে অটো কিনবে মর্মে আয়েশা তাঁর স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করেন৷ এছাড়া অন্যদের মধ্যে কেউ গাভী পালন করবেন; একজন প্রতিবন্ধী টি-স্টল দিবেন; কেউবা মাছ চাষ করবেন মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন৷
ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে বলেন, “সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। এধরণের কার্যক্রমে যাতে সঠিক ব্যক্তি সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় এবং কোনোরূপ অনিয়ম না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।” কার্যক্রমকে সফল করতে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা কামনা করেছেন।