নিউজ ডেস্ক।।মোবাইলে কথা বলার বর্ধিত কর কর্তন শুরু।২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ১২টা থেকেই এই ঘোষণা কার্যকর হয়েছে। এখন কথা বললে বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা।
বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারে সরাসরি গ্রাহকের কাছ থেকে পাঁচ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বেশি নেয়ার কথা বলা হয়। যা ১২ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে।
ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে গেছে। গত অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল।
এদিকে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পরই মধ্যরাত থেকে এসএমএস, কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। পাঁচ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গ্রাহকের কাছ থেকে এই বাড়তি অর্থ নেয়া শুরু করেছে।
নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ এক শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
তাই প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার কিছু কম, এতদিন যা ২২ টাকার মতো ছিল। বিশ্লেষকরা এবং কোম্পানিগুলো বলে আসছিল, মোবাইল সেবায় কর বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষ বেশি চাপে পড়বে।
দেশে মার্চ শেষে মোবাইল গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫৩ লাখের বেশি।
মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছে, আগে ১০০ টাকা খরচ করলে সরকারকে ২১ টাকা ৫৭ পয়সা দিতে হতো। পাঁচ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় এখন তা হবে ২৪ টাকা ৯৫ পয়সা। এই বাড়তি খরচ বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে।
তবে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ভ্যাট পাঁচ শতাংশ হওয়ায় ডেটা ব্যবহারে কিছুটা কম খরচ হবে বলে জানায় অপারেটররা।
এদিকে বাজেটে টেলিযোগাযোগ সেবায় সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহামারি করোনায় আয় রোজগারহীন গ্রাহকের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা ‘জুলুম’। সরকারের কাছে বর্ধিত আরোপিত কর বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।