ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৬ জুন থেকে সীমিত পরিসরেই চলবে অফিস-গণপরিবহন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
  • ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

ধানসিঁড়ি নিউজ।।করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সোমবার (১৫ জুন)। গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে থেকে জানা গেছে, আগামী ১৬ জুন থেকেও এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহনও। সরকার মূলত জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। সাধারণ ছুটি থাকবে লকডাউন এলাকায়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ’১৫ জুনের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মত অফিস এবং গণপরিবহন চলবে, সেজন্য একটি অর্ডার জারি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার এখন জোনিংয়ে যাচ্ছি। ঢাকাসহ যে জায়গাগুলো বেশি সংক্রমিত হয়েছে সেই জায়গাগুলোতে রেড জোন ঘোষণা করে বিশেষ ট্রিটমেন্টে আমরা চলে যাবো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাই বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে ছুটি ঘোষণা করা হবে না। রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে।’

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশি করোনা আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্ত মুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও। লকডাউনের মেয়াদ হবে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত।

গত ৯ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রেড জোন’ হিসাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে সেখানে।

গত মার্চের শুরুতে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে ছুটি শেষ হয়।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কার মধ্যেই টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হয়।

পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে জানানো হয়, সরকারি দফতরে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতে পারবেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

১৬ জুন থেকে সীমিত পরিসরেই চলবে অফিস-গণপরিবহন

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

ধানসিঁড়ি নিউজ।।করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সোমবার (১৫ জুন)। গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে থেকে জানা গেছে, আগামী ১৬ জুন থেকেও এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহনও। সরকার মূলত জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। সাধারণ ছুটি থাকবে লকডাউন এলাকায়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ’১৫ জুনের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মত অফিস এবং গণপরিবহন চলবে, সেজন্য একটি অর্ডার জারি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার এখন জোনিংয়ে যাচ্ছি। ঢাকাসহ যে জায়গাগুলো বেশি সংক্রমিত হয়েছে সেই জায়গাগুলোতে রেড জোন ঘোষণা করে বিশেষ ট্রিটমেন্টে আমরা চলে যাবো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাই বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে ছুটি ঘোষণা করা হবে না। রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে।’

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশি করোনা আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্ত মুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও। লকডাউনের মেয়াদ হবে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত।

গত ৯ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রেড জোন’ হিসাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে সেখানে।

গত মার্চের শুরুতে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে ছুটি শেষ হয়।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কার মধ্যেই টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হয়।

পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে জানানো হয়, সরকারি দফতরে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতে পারবেন।