নিউজ ডেস্ক: সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকা সম্পূর্ণ লকডাউন করতে সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সিভিল সার্জনকে অবহিত করে তা ‘দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে’র জন্য বলা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতার কারণে বিসিসি এলাকা ইতোমধ্যে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ জন অধ্যুষিত নগরীতে সোমবার পর্যন্ত ৭৪২ জন করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আমাকে ফোন করে তাদের দেয়া নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন’। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সুপারিশ করে বরিশালের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহবুদ্দিন বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে নির্দেশনা কার্যকরের জন্য বেশ কিছু পূর্বপ্রস্তুতি ও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। তা সম্পন্ন করার পরই লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও বেশ কিছু মহলের সাথে আলোচনার করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, টেলিফোনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সিটি করপোরেশন এলাকা লকডাউন করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে অতি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। এছাড়া রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকা লকডাউন করার ক্ষেত্রে প্রদত্ত সকল শর্ত শতভাগ কার্যকর করার কথাও বলেছেন পরিচালক। সেভাবেই সকল কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনে যেখানে ‘রেড জোন’ হবে সেই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া রেড জোনে দেয়া লকডাউন ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে।
সেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বুথ এবং চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। খাবার, ওষুধ ও বাজারের সব ব্যবস্থা ভেতরেই করা হবে। সবদিক থেকে ওই এলাকাটিকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে এবং বাইর থেকে কেউ ঢুকতে না পারে।
সূত্র: মতবাদ