ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেড জোনে যা করা যাবে, যা করা যাবে না

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০
  • ৬৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: জীবন-জীবিকা নির্বাহের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দুমাস পর গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু হলেও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে জোনিং সিস্টেম (রেড, ইয়োলো ও গ্রিন)চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার সরকার ‘রেড জোন’ অঞ্চলগুলোর জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে বেশ করেকটি নির্দেশনা জারি করার পাশাপাশি তা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে-

বিধিনিষেধের মধ্য রয়েছে-

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত সময়ে কৃষিকাজ কাজ করা যাবে।

২. স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে। তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।

৩. বাসা থেকেই অফিসের কাজ করতে হবে।

৪. কোন ধরণের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন।

৫. স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবেন। রিক্সা ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়ী চলাচল করবে না।

৬. সড়ক পথ, নদীপথ ও রেলপথে জোনের ভিতরে কোন যান চলাচল করবে না।

৭. জোনের ভিতরে ও বাহিরে মালবাহী নৌযান ও জাহাজ কেবলমাত্র রাতে চলাচল করতে পারবে।

৮. প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৯. এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেষ্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। বাজারে শুধুমাত্র প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম/ স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

১০.আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম যেমন টাকা জমাদান/ উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবলমাত্র এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে। তবে সীমিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।

১১.এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সনাক্ত রোগীরা হোম আইসোলেশন বা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকবে।

১২. শুধুমাত্র মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মসজিদ/ উপাসনালয়ে সামাজিক দুরত্ব রেখে ইবাদত করতে পারবেন।

১৩.সাধারণভাবে রেড জোন ২১ দিনের জন্য বলবত হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে রেড জোন পরিবর্তন করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে প্রাথমিকভাবে তিনটি জেলায় (গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার (পূর্ব রাজাবাজার) এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীতে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেমের অভিজ্ঞতা দেশের অন্যান্য এলাকায় জোনিং সিস্টেম চালু বা পরিবর্তনের বিষয়ে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

রেড জোনে যা করা যাবে, যা করা যাবে না

আপডেট সময় : ১০:৪৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০

নিউজ ডেস্ক: জীবন-জীবিকা নির্বাহের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দুমাস পর গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু হলেও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে জোনিং সিস্টেম (রেড, ইয়োলো ও গ্রিন)চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার সরকার ‘রেড জোন’ অঞ্চলগুলোর জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে বেশ করেকটি নির্দেশনা জারি করার পাশাপাশি তা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে-

বিধিনিষেধের মধ্য রয়েছে-

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে বর্ধিত সময়ে কৃষিকাজ কাজ করা যাবে।

২. স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামাঞ্চলে কলকারখানা ও কৃষি পণ্য উৎপাদন কারখানায় কাজ করা যাবে। তবে শহরাঞ্চলে সব বন্ধ থাকবে।

৩. বাসা থেকেই অফিসের কাজ করতে হবে।

৪. কোন ধরণের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন।

৫. স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবেন। রিক্সা ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি বা নিজস্ব গাড়ী চলাচল করবে না।

৬. সড়ক পথ, নদীপথ ও রেলপথে জোনের ভিতরে কোন যান চলাচল করবে না।

৭. জোনের ভিতরে ও বাহিরে মালবাহী নৌযান ও জাহাজ কেবলমাত্র রাতে চলাচল করতে পারবে।

৮. প্রত্যেক এলাকায় সীমিত পরিমাণে প্রবেশ ও বহিরাগমন পয়েন্ট নির্ধারণ করে কঠোরভাবে জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৯. এই জোনের অন্তর্গত মুদি দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেষ্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। বাজারে শুধুমাত্র প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। তবে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম/ স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

১০.আর্থিক লেনদেন বিষয়ক কার্যক্রম যেমন টাকা জমাদান/ উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবলমাত্র এটিএম-এর মাধ্যমে করা যাবে। তবে সীমিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।

১১.এলাকার রোগীদের পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সনাক্ত রোগীরা হোম আইসোলেশন বা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকবে।

১২. শুধুমাত্র মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মসজিদ/ উপাসনালয়ে সামাজিক দুরত্ব রেখে ইবাদত করতে পারবেন।

১৩.সাধারণভাবে রেড জোন ২১ দিনের জন্য বলবত হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে রেড জোন পরিবর্তন করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে প্রাথমিকভাবে তিনটি জেলায় (গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার (পূর্ব রাজাবাজার) এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীতে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেমের অভিজ্ঞতা দেশের অন্যান্য এলাকায় জোনিং সিস্টেম চালু বা পরিবর্তনের বিষয়ে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।