ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধবপাশা দূর্গাসাগর দিঘীতে পাখি ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯
  • ৬৬৫ বার পড়া হয়েছে

লেখক: নওরোজ কবির টুকু
সমাজ কর্মী।

“মাধবপাশা দূর্গাসাগর দিঘী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পাখি শূন্য হয়ে পড়েছে। পাখি ফিরিয়ে আনার জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।” নি:সন্দেহে ভালো উদ্যোগ।
পাখি শূন্যতার কারণ হিসেবে (আমার দৃষ্টিতে) কয়েকটি সমস্যা তুলে ধরছি, সেগুলো সমাধানের জন্য বিবেচনা করলে সুফল পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
১। গাছের সংখ্যা কমে গেছে। অধিক গাছ লাগিয়ে ঘন জংগল সৃষ্টি করা। সব গাছে পাখি বাসা বাঁধে না বা বাঁধতে পারে না, যেমন- মেহেগনী, ইউক্যালিপটাস, চম্বল ইত্যাদি (বট গাছ লাগানোয় প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে) এটা বিবেচনা করে গাছ লাগানো। পাখির খাবারের জন্য ফলজ বৃক্ষ বেশি লাগানো।
২। পাখি শূন্যতার প্রধান কারণ শব্দ দূষণ। তাই যারা আনন্দ ভ্রমণ/ভোজনে আসেন তারা যাতে কোনো মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যাবহার না করে এমনকি জেলা প্রশাসনের কোনো অনুষ্ঠানেও যাতে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা না হয় সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
৩। নৌকা বিচরণ এবং দ্বীপে লোক যাতায়াত না করা, দিঘীর একেবারে তীরে (ঘাট ব্যাতীত) না নামার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকা।
৪। দ্বীপে লতা-গুল্ম, ঝোঁপ জাতীয় গাছ লাগিয়ে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করা (আগে ছিল), যেখানে পাখি অনায়াসে বাসা তৈরি করতে পারবে। দীঘির চারপাশে লতা-গুল্ম, ছন, কাশফুল লাগানো যেতে পারে বেশি করে এবং দ্বীপের চারপাশে বড় জাতের কচুরিপানা জন্মানো। তাতে পাখির সুশীতল নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্য দুটোরই যোগান হবে। পানকৌড়ি, ডাহুক সাধারণত এই ধরণের পরিবেশে ডিম পারে।
৫। সার্বক্ষনিক ছিপ বাইতে না দেওয়া।

বিদ্র: যে হাঁড়িগুলো গাছে ঝোলানো হচ্ছে সেগুলোর তলা ছিদ্র করে দেওয়া আবশ্যক, তা না হলে বৃষ্টির পানি জমলে পাখি বাসা বাধবে না। এগুলো রং না করলে ভালো হত। রং করলেও কালো রং এ প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করলে দূর্গা সাগর দীঘি পাখি শূন্যতা থেকে মুক্তি পেতে পারে। পাখি ফিরিয়ে আনতে শুধু প্রশাসন নয় আমাদেরও দায়ভার রয়েছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

ববির ভিসি প্রো- ভিসি সহ ট্রেজারারের অপসারন

মাধবপাশা দূর্গাসাগর দিঘীতে পাখি ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯

লেখক: নওরোজ কবির টুকু
সমাজ কর্মী।

“মাধবপাশা দূর্গাসাগর দিঘী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পাখি শূন্য হয়ে পড়েছে। পাখি ফিরিয়ে আনার জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।” নি:সন্দেহে ভালো উদ্যোগ।
পাখি শূন্যতার কারণ হিসেবে (আমার দৃষ্টিতে) কয়েকটি সমস্যা তুলে ধরছি, সেগুলো সমাধানের জন্য বিবেচনা করলে সুফল পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
১। গাছের সংখ্যা কমে গেছে। অধিক গাছ লাগিয়ে ঘন জংগল সৃষ্টি করা। সব গাছে পাখি বাসা বাঁধে না বা বাঁধতে পারে না, যেমন- মেহেগনী, ইউক্যালিপটাস, চম্বল ইত্যাদি (বট গাছ লাগানোয় প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে) এটা বিবেচনা করে গাছ লাগানো। পাখির খাবারের জন্য ফলজ বৃক্ষ বেশি লাগানো।
২। পাখি শূন্যতার প্রধান কারণ শব্দ দূষণ। তাই যারা আনন্দ ভ্রমণ/ভোজনে আসেন তারা যাতে কোনো মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যাবহার না করে এমনকি জেলা প্রশাসনের কোনো অনুষ্ঠানেও যাতে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা না হয় সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
৩। নৌকা বিচরণ এবং দ্বীপে লোক যাতায়াত না করা, দিঘীর একেবারে তীরে (ঘাট ব্যাতীত) না নামার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকা।
৪। দ্বীপে লতা-গুল্ম, ঝোঁপ জাতীয় গাছ লাগিয়ে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করা (আগে ছিল), যেখানে পাখি অনায়াসে বাসা তৈরি করতে পারবে। দীঘির চারপাশে লতা-গুল্ম, ছন, কাশফুল লাগানো যেতে পারে বেশি করে এবং দ্বীপের চারপাশে বড় জাতের কচুরিপানা জন্মানো। তাতে পাখির সুশীতল নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্য দুটোরই যোগান হবে। পানকৌড়ি, ডাহুক সাধারণত এই ধরণের পরিবেশে ডিম পারে।
৫। সার্বক্ষনিক ছিপ বাইতে না দেওয়া।

বিদ্র: যে হাঁড়িগুলো গাছে ঝোলানো হচ্ছে সেগুলোর তলা ছিদ্র করে দেওয়া আবশ্যক, তা না হলে বৃষ্টির পানি জমলে পাখি বাসা বাধবে না। এগুলো রং না করলে ভালো হত। রং করলেও কালো রং এ প্রাধান্য দেয়া যেতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করলে দূর্গা সাগর দীঘি পাখি শূন্যতা থেকে মুক্তি পেতে পারে। পাখি ফিরিয়ে আনতে শুধু প্রশাসন নয় আমাদেরও দায়ভার রয়েছে।