ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই রমজানে ঢাকার শতকরা ৯৮ শতাংশ যাত্রী গণপরিবহণে নৈরাজ্যের শিকার

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯
  • ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

রমজান মাসে ঢাকায় গণপরিবহনের যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হয়ে গণপরিবহন ব্যবস্থার ওপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৯০ শতাংশ যাত্রী। আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হন ৯৮ শতাংশ যাত্রী। যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর ১৫টি এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি করা হয়।
পর্যবেক্ষণকালে দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ যাত্রী চলন্ত বাসে ওঠানামা করতে বাধ্য হন। সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ৩৬ শতাংশ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। হয়রানির শিকার হলেও অভিযোগ কোথায় করতে হয় জানেন না ৯৩ শতাংশ যাত্রী। তবে ৯০ শতাংশ যাত্রী মনে করেন, অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না বলেই তাঁরা অভিযোগ করেন না। এসব ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইফতারের আগ মুহূর্তে যানজট, গণপরিবহন সংকটের কারণে নগরীর সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অফিস ছুটি শেষে ইফতারকে কেন্দ্রকরে ঘরমুখী যাত্রীকে টার্গেট করে নগরীতে চলাচলকারী প্রায় সব বাস এখন রাতারাতি সিটিং সার্ভিস বনে যায়। এসব বাস বিশেষত ইফতারের সময় যাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দ্রুত গন্তব্যে যাত্রা করে। বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত নগরীতে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের প্রায় ৯৭ শতাংশ সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে যাতায়াত করছে। এতে নগরীর মাঝপথের বিভিন্ন স্টপেজের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাসগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
সিএনজির ভাড়া প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, নগরীতে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা শতভাগ চুক্তিতে চলাচল করছে। এতে মিটারের প্রায় তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হন না ৯৩ শতাংশ অটোরিকশা চালক। অনেকটা কাকতালীয়ভাবে অটোরিকশা চালকের পছন্দের গন্তব্যে মিলে গেলে যাত্রীর গন্তব্যে যেতে রাজি হন তাঁরা। সব মিলিয়ে যাত্রীরা এক চরম হতাশা ও নৈরাজ্যের মধ্যে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে স্পষ্টতই পরিলক্ষিত হচ্ছ।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

এই রমজানে ঢাকার শতকরা ৯৮ শতাংশ যাত্রী গণপরিবহণে নৈরাজ্যের শিকার

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

রমজান মাসে ঢাকায় গণপরিবহনের যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হয়ে গণপরিবহন ব্যবস্থার ওপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৯০ শতাংশ যাত্রী। আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হন ৯৮ শতাংশ যাত্রী। যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর ১৫টি এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি করা হয়।
পর্যবেক্ষণকালে দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ যাত্রী চলন্ত বাসে ওঠানামা করতে বাধ্য হন। সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ৩৬ শতাংশ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। হয়রানির শিকার হলেও অভিযোগ কোথায় করতে হয় জানেন না ৯৩ শতাংশ যাত্রী। তবে ৯০ শতাংশ যাত্রী মনে করেন, অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না বলেই তাঁরা অভিযোগ করেন না। এসব ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইফতারের আগ মুহূর্তে যানজট, গণপরিবহন সংকটের কারণে নগরীর সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অফিস ছুটি শেষে ইফতারকে কেন্দ্রকরে ঘরমুখী যাত্রীকে টার্গেট করে নগরীতে চলাচলকারী প্রায় সব বাস এখন রাতারাতি সিটিং সার্ভিস বনে যায়। এসব বাস বিশেষত ইফতারের সময় যাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দ্রুত গন্তব্যে যাত্রা করে। বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত নগরীতে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের প্রায় ৯৭ শতাংশ সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে যাতায়াত করছে। এতে নগরীর মাঝপথের বিভিন্ন স্টপেজের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাসগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
সিএনজির ভাড়া প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, নগরীতে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা শতভাগ চুক্তিতে চলাচল করছে। এতে মিটারের প্রায় তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হন না ৯৩ শতাংশ অটোরিকশা চালক। অনেকটা কাকতালীয়ভাবে অটোরিকশা চালকের পছন্দের গন্তব্যে মিলে গেলে যাত্রীর গন্তব্যে যেতে রাজি হন তাঁরা। সব মিলিয়ে যাত্রীরা এক চরম হতাশা ও নৈরাজ্যের মধ্যে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে স্পষ্টতই পরিলক্ষিত হচ্ছ।