ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেই অধ্যক্ষের আরো কুকীর্তির বর্ণনা দিলো ছাত্রীরা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৯
  • ৫৮২ বার পড়া হয়েছে

‘স্যার খুব খারাপ লোক। তার লালসার শিকার অনেকেই হয়েছিল। আমার শরীরে পর্যন্ত সে হাত দিয়েছিল ’- এমনটিই বলছেন ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি।

নাসরিন, নুসরাত জাহান রাফির বান্ধবী। নাসরিন বলেন, স্যার আমার গায়েও হাত দিয়েছিল। সে সময়ও আমরা দুই বান্ধবী প্রতিবাদ করেছি। তিনি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভীতি দেখিয়ে প্রায় সবাইকে কু-প্রস্তাব দিতেন তিনি। বৃহস্পতিবার আলিম পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ সম্পর্কে বলেন, এমন কোন মেয়ে নাই যার হাত তিনি ধরেনি। সে আমাকেও ছাড়েনি আমার শরীরেও হাত দিয়েছিল। এ ঘটনায় আমি সর্বপ্রথম নুসরাতকে বলেছিলাম। নুসরাত ঐদিন আমার বিষয় নিয়ে সিরাজ স্যারের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল। নুসরাতের চিঠিতে যে বান্ধবীর নাম আছে, সেই তানজিনা আক্তার সাথি বলেন, প্রতিবাদী ছিল নুসরাত। ওর প্রতিবাদে আমরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সাহস সঞ্চয় করেছিলাম। এমনকি ইউএনও বরাবর আমরা একটি দরখাস্ত লেখার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু কোনো এক কারণে সেটা জমা দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, সিরাজ স্যার পরীক্ষার ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের কু-প্রস্তাব দিতো। অনেক গরীব শিক্ষার্থী আছে। তারা হয়তো সে টাকা দিয়ে নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারবে না। যার ফলে তারা কখনোই প্রতিবাদ করতে আসেনি। সেই সুযোগ নিতো সিরাজ স্যার।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

সেই অধ্যক্ষের আরো কুকীর্তির বর্ণনা দিলো ছাত্রীরা

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

‘স্যার খুব খারাপ লোক। তার লালসার শিকার অনেকেই হয়েছিল। আমার শরীরে পর্যন্ত সে হাত দিয়েছিল ’- এমনটিই বলছেন ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি।

নাসরিন, নুসরাত জাহান রাফির বান্ধবী। নাসরিন বলেন, স্যার আমার গায়েও হাত দিয়েছিল। সে সময়ও আমরা দুই বান্ধবী প্রতিবাদ করেছি। তিনি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভীতি দেখিয়ে প্রায় সবাইকে কু-প্রস্তাব দিতেন তিনি। বৃহস্পতিবার আলিম পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ সম্পর্কে বলেন, এমন কোন মেয়ে নাই যার হাত তিনি ধরেনি। সে আমাকেও ছাড়েনি আমার শরীরেও হাত দিয়েছিল। এ ঘটনায় আমি সর্বপ্রথম নুসরাতকে বলেছিলাম। নুসরাত ঐদিন আমার বিষয় নিয়ে সিরাজ স্যারের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল। নুসরাতের চিঠিতে যে বান্ধবীর নাম আছে, সেই তানজিনা আক্তার সাথি বলেন, প্রতিবাদী ছিল নুসরাত। ওর প্রতিবাদে আমরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সাহস সঞ্চয় করেছিলাম। এমনকি ইউএনও বরাবর আমরা একটি দরখাস্ত লেখার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু কোনো এক কারণে সেটা জমা দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, সিরাজ স্যার পরীক্ষার ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাদের কু-প্রস্তাব দিতো। অনেক গরীব শিক্ষার্থী আছে। তারা হয়তো সে টাকা দিয়ে নতুন করে পরীক্ষা দিতে পারবে না। যার ফলে তারা কখনোই প্রতিবাদ করতে আসেনি। সেই সুযোগ নিতো সিরাজ স্যার।