স্টাফ রিপোর্টারঃ জমি নিয়ে বিরোধে হামলার শিকার এক নারী চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে ফের হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার শিকার নারীর নাম রহিমা বেগম (৪০) তিনি বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রহিমা বেগমের বাড়ী পটুয়াখালী জেলার মীর্জাগন্জ উপজেলার ৪ – নং সুবিদখালী ইউনিয়নের উত্তর চতরা গ্রামে।
আহত বিধবা রহিমা বেগম বলেন, বেশ কেয়েক বছর পূর্বে স্বামী মারা যাওয়ায় ছেলে নিয়ে তিনি বাপের বাড়ী বসবাস করেন।
তার বাবা আনিছুর রহমান বার্ধক্যে উপনিত হওয়ায় তাদের জমিজমা জবর দখলের পায়তারা করছে একই এলাকার নুরুল হক গংরা।
গত- ১৮ নভেম্বর বুধবার দুপুর ২ টার দিকে রহিমা বেগমদের জমি জোড় পূর্বক দখল করতে আসলে বাঁধা দিলে লাঠি সোঠা দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় একাব্বর আলীর ছেলে নুরুল হক (৩৫), তার বড় ভাই নয়ন মোল্লা (৪৫) ও মৃত জালাল উদ্দীন মিয়ার ছেলে আঃ কুদ্দুস (৩৮) সহ- তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জন।
আহত রহিমা বেগম জানান ঐদিন বিকাল ৪ টার দিকে থানায় অভিযোগ করতে যাওয়ার সময় পথরোধ করে তার উপর ফের হামলা চালায় অভিযুক্তরা।
হামলায় আহত রহিমার ভাইয়ের ছেলে মোঃ রাশেদ বলেন, ফুপুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহিন্দ্রা যোগে গতকাল সকাল ৭ টার দিকে বরিশালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাকেরগন্জের পাদ্রীশীবপুর নামক স্থান অতিক্রমকালে অভিযুক্তরা ফের তাদের পথরোধ করে মাহিন্দ্রা থেকে নামিয়ে ফের মারধর করে।
এসময় স্থানীয় জনতা রহিমাকে উদ্ধার করে মূমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। হামলায় রহিমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালা ফুলা দেখা দিয়েছে।
হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে রহিমা ও তার পরিবারের লোকজন।
এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন রহিমার চাচাতো ভাই মোঃ আবু হানিফ।
এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি শওকত মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলার বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন রহিমার স্বজনরা। তারা যদি লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।