ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষকের হাতে, কৃষকের মাঠে ফুটে উঠল বঙ্গবন্ধুর প্রতি অভিনব ভালোবাসা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১১০৮ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াখালবালা গ্রামের বাসিন্দা হাজি তারা মিয়ার ছেলে কৃষক আব্দুল কাদির বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শনের ফুটিয়ে তুলেছেন নিজ কৃষি জমিতে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, নৌকা, স্মৃতিসৌধ, শতবর্ষ লিখনি এবং জমিনের চারপাশে ‘লাভ’ চিহ্ন নকশা করেছেন সরিষা ও লাল শাক দিয়ে। মোট ৩২ শতক জমিতে শৈল্পিক বুননে ফসলের মাঠকে করে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন। প্রতিদিন শতশত মানুষ কৃষক কাদিরের ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন।
শতশত উৎসুখ লোক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা সহ এসেছেন অনেক নারী-পুরুষ। ক্ষেতে চোখ পড়লে দেখা যায় ছবির মতো আঁকা নৌকার পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ছাড়াও স্মৃতিসৌধ ও শতবর্ষ লিখনি। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন কোনো শিল্পীর তুলিতে এঁকে রেখেছেন।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে সরিষা ও লাল শাক। সরিষা ও লাল শাক এমন ভাবে বুনন করা হয়েছে যা ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও নৌকাসহ স্মৃতিসৌধ। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে উঁচু টাওয়ার। যেখানে উঠে ছবি তুলছেন অনেকেই। কথা হয় কৃষক আব্দুল কাদিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া রবি শস্য সরিষা ও লাল শাক প্রদর্শনী প্লটে চিত্রকলার আলোকে বীজ বপন করে কিছু নতুনত্ব সৃষ্টি করা যায় কি-না এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থেকে এমন চিন্তা।
এই কারুকার্যময় চিত্ররূপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তা দেখার জন্য প্রতিদিন শতশত মানুষ ক্ষেতের পাশে ভিড় করছে। তুলছে সেলফি।
ক্ষেত ঘুরে দেখা যায় দুই পাশে রয়েছে দুটি নৌকা, মাঝখানে বড় আকারের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, আরেক পাশে স্মৃতিসৌধ ও চারপাশে চারটি লাভ। কাদির বলেন, আমার নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্য কিছু করতে পারলাম না। তাই এখন থেকে প্রতিবছর এই মৌসুমে বিজয়ের মাসে আমার এই ক্ষেতটিতে এ ধরনের নকশি একে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করব।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, এ কেমন ভালোবাসা। যা দেখে নিজেই চমকে গেলাম। যা আমরা পারছি না। তা দেখিয়ে দিলেন কৃষক আব্দুল কাদির। আমার জানা মতে এটাই দেশের প্রথম জমিনে চিত্রাংকনসহ ভালোবাসার নিদর্শন। তিনি আরও বলেন, কৃষি পদকের জন্য আব্দুল কাদির নাম প্রস্তাব করা হবে।
Courtesy by ittefuq

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার হামিদ!

কৃষকের হাতে, কৃষকের মাঠে ফুটে উঠল বঙ্গবন্ধুর প্রতি অভিনব ভালোবাসা

আপডেট সময় : ১০:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াখালবালা গ্রামের বাসিন্দা হাজি তারা মিয়ার ছেলে কৃষক আব্দুল কাদির বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শনের ফুটিয়ে তুলেছেন নিজ কৃষি জমিতে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, নৌকা, স্মৃতিসৌধ, শতবর্ষ লিখনি এবং জমিনের চারপাশে ‘লাভ’ চিহ্ন নকশা করেছেন সরিষা ও লাল শাক দিয়ে। মোট ৩২ শতক জমিতে শৈল্পিক বুননে ফসলের মাঠকে করে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন। প্রতিদিন শতশত মানুষ কৃষক কাদিরের ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন।
শতশত উৎসুখ লোক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা সহ এসেছেন অনেক নারী-পুরুষ। ক্ষেতে চোখ পড়লে দেখা যায় ছবির মতো আঁকা নৌকার পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ছাড়াও স্মৃতিসৌধ ও শতবর্ষ লিখনি। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন কোনো শিল্পীর তুলিতে এঁকে রেখেছেন।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে সরিষা ও লাল শাক। সরিষা ও লাল শাক এমন ভাবে বুনন করা হয়েছে যা ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও নৌকাসহ স্মৃতিসৌধ। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে উঁচু টাওয়ার। যেখানে উঠে ছবি তুলছেন অনেকেই। কথা হয় কৃষক আব্দুল কাদিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া রবি শস্য সরিষা ও লাল শাক প্রদর্শনী প্লটে চিত্রকলার আলোকে বীজ বপন করে কিছু নতুনত্ব সৃষ্টি করা যায় কি-না এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থেকে এমন চিন্তা।
এই কারুকার্যময় চিত্ররূপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তা দেখার জন্য প্রতিদিন শতশত মানুষ ক্ষেতের পাশে ভিড় করছে। তুলছে সেলফি।
ক্ষেত ঘুরে দেখা যায় দুই পাশে রয়েছে দুটি নৌকা, মাঝখানে বড় আকারের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, আরেক পাশে স্মৃতিসৌধ ও চারপাশে চারটি লাভ। কাদির বলেন, আমার নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্য কিছু করতে পারলাম না। তাই এখন থেকে প্রতিবছর এই মৌসুমে বিজয়ের মাসে আমার এই ক্ষেতটিতে এ ধরনের নকশি একে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করব।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, এ কেমন ভালোবাসা। যা দেখে নিজেই চমকে গেলাম। যা আমরা পারছি না। তা দেখিয়ে দিলেন কৃষক আব্দুল কাদির। আমার জানা মতে এটাই দেশের প্রথম জমিনে চিত্রাংকনসহ ভালোবাসার নিদর্শন। তিনি আরও বলেন, কৃষি পদকের জন্য আব্দুল কাদির নাম প্রস্তাব করা হবে।
Courtesy by ittefuq