ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়ল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৯
  • ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে

পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়ল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান। এর পাখার দৈর্ঘ্য প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান। শনিবার সকালে প্রথমবারের মতো বিমানটি আকাশে ওড়ে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমিতে বেশ গোপনীয়তার মধ্য দিয়েই তৈরি হয় ছয় ইঞ্জিনের বিশাল স্ট্র্যাটোলঞ্চ নামের বিমানটি।

তবে সাধারণ যাত্রী বহনের কাজে এটি ব্যবহৃত হবে না। মূলত, রকেট বহন করবে স্ট্র্যাটোলঞ্চ। এর পেটের কাছাকাছি রকেট লাগানোর জায়গা আছে। ৩৫ হাজার ফুট ওপরে উঠে এই রকেট ছেড়ে দেওয়া হবে। এতে করে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণসহ সামগ্রিক মহাকাশ অভিযান আরও সাশ্রয়ী হবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিমানের মাধ্যমে ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা গেলে খরচ কমে যাবে। পৃথিবী থেকে রকেট উৎক্ষেপণের তুলনায় জ্বালানি খরচও কমে যাবে। এ ছাড়া বাজে আবহাওয়ার সমস্যায় পড়তে হবে না।

বিমানটির ডানা লম্বায় প্রায় ৩৮৫ ফুট, উচ্চতা ৫০ ফুট। অর্থাৎ একটি ফুটবল মাঠের চেয়েও লম্বা এই বিমানের ডানা। বিমানটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬টি জেট ইঞ্জিন এবং এতে মোট ২৮টি চাকা আছে।

গত ২০১১ সালে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেনের উদ্যোগে তৈরি হয় স্ট্র্যাটোলঞ্চ সিস্টেমস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজটি।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়ল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান

আপডেট সময় : ০২:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়ল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান। এর পাখার দৈর্ঘ্য প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান। শনিবার সকালে প্রথমবারের মতো বিমানটি আকাশে ওড়ে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমিতে বেশ গোপনীয়তার মধ্য দিয়েই তৈরি হয় ছয় ইঞ্জিনের বিশাল স্ট্র্যাটোলঞ্চ নামের বিমানটি।

তবে সাধারণ যাত্রী বহনের কাজে এটি ব্যবহৃত হবে না। মূলত, রকেট বহন করবে স্ট্র্যাটোলঞ্চ। এর পেটের কাছাকাছি রকেট লাগানোর জায়গা আছে। ৩৫ হাজার ফুট ওপরে উঠে এই রকেট ছেড়ে দেওয়া হবে। এতে করে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণসহ সামগ্রিক মহাকাশ অভিযান আরও সাশ্রয়ী হবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিমানের মাধ্যমে ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা গেলে খরচ কমে যাবে। পৃথিবী থেকে রকেট উৎক্ষেপণের তুলনায় জ্বালানি খরচও কমে যাবে। এ ছাড়া বাজে আবহাওয়ার সমস্যায় পড়তে হবে না।

বিমানটির ডানা লম্বায় প্রায় ৩৮৫ ফুট, উচ্চতা ৫০ ফুট। অর্থাৎ একটি ফুটবল মাঠের চেয়েও লম্বা এই বিমানের ডানা। বিমানটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬টি জেট ইঞ্জিন এবং এতে মোট ২৮টি চাকা আছে।

গত ২০১১ সালে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেনের উদ্যোগে তৈরি হয় স্ট্র্যাটোলঞ্চ সিস্টেমস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজটি।