ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“জনগণের হৃদয় জয় করুন” জনপ্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯
  • ৩৩৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

জনগণের কল্যাণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “শুধু ভোটে জয়লাভ করলেই চলবে না, জনগণের হৃদয়ও জয় করতে হবে।”
তিনি বলেন, “জনস্বার্থে যদি আপনি কাজ করেন, মানুষের হৃদয় যদি আপনি জয় করতে পারেন, তাহলে দেখবেন জনগণই আপনার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে এবং আপনাকে তাঁদের সেবা করার সুযোগটা বারবার দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, আপনারা তাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন। তাঁদের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে। রাজনীতিটা যদি ব্যক্তিস্বার্থে হয়, তাহলে সে রাজনীতি কখনো জনগণের কল্যাণ করতে পারে না।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের ওপর বিরাট দায়িত্ব। তাই মনে রাখতে হবে -জনপ্রতিনিধি হওয়া মানেই জনগণের সেবা করার জন্য, শুধু যারা আপনাকে ভোট দিয়েছেন তারা নয়, আপনি এলাকার সব মানুষেরই প্রতিনিধি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “হ্যাঁ আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী তখন সমগ্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দল-মতনির্বিশেষে সকলের কল্যাণ করাই আমার দায়িত্ব। আপনারাও সেভাবে নিজেকে মনে করবেন এবং স্ব স্ব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।”
মন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে যে মর্যাদার আসন করে নিয়েছে সেটা অব্যাহত থাকবে। আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন এবং আমার তরফ থেকে সব রকম সহযোগিতা আপনারা পাবেন। ময়মনসিংহ নতুন সিটি করপোরেশন, এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস আছে সেটা আপনারা পারবেন।”
প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত মেয়র একরামুল হক টিটুকে শপথ বাক্য পাঠ করান।পরে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম একই স্থানে সংরক্ষিত আসনসহ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৪৪ জন কাউন্সিলরকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ।
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদ তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়া ময়মনসিংহের সিটি নির্বাচনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার।
৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য প্রায় ২৪২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া ১১টি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭০ জন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

“জনগণের হৃদয় জয় করুন” জনপ্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

জনগণের কল্যাণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “শুধু ভোটে জয়লাভ করলেই চলবে না, জনগণের হৃদয়ও জয় করতে হবে।”
তিনি বলেন, “জনস্বার্থে যদি আপনি কাজ করেন, মানুষের হৃদয় যদি আপনি জয় করতে পারেন, তাহলে দেখবেন জনগণই আপনার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে এবং আপনাকে তাঁদের সেবা করার সুযোগটা বারবার দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, আপনারা তাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন। তাঁদের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে। রাজনীতিটা যদি ব্যক্তিস্বার্থে হয়, তাহলে সে রাজনীতি কখনো জনগণের কল্যাণ করতে পারে না।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের ওপর বিরাট দায়িত্ব। তাই মনে রাখতে হবে -জনপ্রতিনিধি হওয়া মানেই জনগণের সেবা করার জন্য, শুধু যারা আপনাকে ভোট দিয়েছেন তারা নয়, আপনি এলাকার সব মানুষেরই প্রতিনিধি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “হ্যাঁ আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী তখন সমগ্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দল-মতনির্বিশেষে সকলের কল্যাণ করাই আমার দায়িত্ব। আপনারাও সেভাবে নিজেকে মনে করবেন এবং স্ব স্ব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।”
মন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে যে মর্যাদার আসন করে নিয়েছে সেটা অব্যাহত থাকবে। আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন এবং আমার তরফ থেকে সব রকম সহযোগিতা আপনারা পাবেন। ময়মনসিংহ নতুন সিটি করপোরেশন, এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস আছে সেটা আপনারা পারবেন।”
প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত মেয়র একরামুল হক টিটুকে শপথ বাক্য পাঠ করান।পরে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম একই স্থানে সংরক্ষিত আসনসহ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৪৪ জন কাউন্সিলরকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ।
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদ তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়া ময়মনসিংহের সিটি নির্বাচনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৭ হাজার।
৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য প্রায় ২৪২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া ১১টি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭০ জন।