ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরুর মাংসের বিক্রেতা যে সকল কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ক্রেতাকে ঠকিয়ে থাকে

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯
  • ৯৩৪ বার পড়া হয়েছে

ধানসিঁড়ি নিউজ বিশেষ প্রতিবেদন:

৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে গেলে বিক্রেতা বিভিন্ন উপায়ে ক্রেতাকে ঠকিয়ে থাকে। নিম্নে বিষয়গুলে লক্ষ্য করলে তাদের ঠকানোর কৌশলগুলোর বিষয়ে জানা যাবে।
১। যে পাত্রে মাংস ওজন করে সেটি একটু আড়ালে রাখে যাতে সরাসরি ওটার ভিতর দেখা না যায় (মাংসের টুকরোগুলো পর্দার মতো এমনভাবে ঝুলিয়ে রাখে যাতে ভিতরে বিক্রেতা কি করছে তা দেখা না যায়)। ঐ পাত্রের ভিতরে আগে থেকেই ১০০/২০০ গ্রামের মতো চর্বি বা হাড়ের টুকরো দিয়ে রাখে। আপনি এক কেজি মাংস কিনলে ১০০/২০০ কম পেলেন। তাই বিক্রেতাকে বলতে হবে পাত্রটি উপুর করে দেখাতে।
২। যে টুকরো গুলো ঝুলানো থাকে তার প্রায় প্রতিটির সাথে উল্টো দিকে আলগা চর্বি বা হাড়ের টুকরো ঝুলানো থাকে। তাই মাংসের টুকরোটি ঘুরিয়ে দেখে নিন।
৩। যে ব্যক্তি মাংস কাটছে তার সম্মুখে কিছু হাড়, অন্যান্য কিছু টুকরো সাজানো থাকে যেটাকে ওদের ভাষায় ছাট বলে। খেয়াল করবেন মাংস মাপার সময় ওখান থেকে খুব দ্রুততার সাথে ১/২ টুকরা দিয়ে দেয়, তার মানে মাংস মাপার সময় ঐটুকু মাংস কম দিয়েছে।
৪। মাংস ব্যবসায়ীরা কিছু শব্দ ব্যবহার করে যার অর্থ অনেকেরই জানা নেই। যেমন-
“নাম আছে” বললে বুঝতে হবে ওজনে কম আছে। সাথে সথে যে পাশে থাকে সে কয়েক টুকরা ছাট মিশিয়ে দেবে।
“ঠোগ গার” বললে বুঝতে হবে হাড়গোড় মেশাবে।
” বস গার” বললে বুঝতে হবে চর্বি মেশাতে বলেছে।
“আকাল কুড়ি” বললে বুঝতে হবে আগের দিনের পুরানো / বা ফ্রিজের মাংস মেশাবে।
৫। মাংস ব্যাগে দেয়ার সময় যখন আড়াল করার চেষ্টা করবে বুঝতে হবে কিছু গরবর করছে।
কাজগুলো এত দ্রুত করে যে সুক্ষ্মভাবে খেয়াল না করলে ধরা যাবে না।
যত পরিচিত লোক হোক বিক্রেতা সুযোগ পেলে এগুলে করবেই। তাই সতর্ক থাকুন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

গরুর মাংসের বিক্রেতা যে সকল কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ক্রেতাকে ঠকিয়ে থাকে

আপডেট সময় : ১০:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯

ধানসিঁড়ি নিউজ বিশেষ প্রতিবেদন:

৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে গেলে বিক্রেতা বিভিন্ন উপায়ে ক্রেতাকে ঠকিয়ে থাকে। নিম্নে বিষয়গুলে লক্ষ্য করলে তাদের ঠকানোর কৌশলগুলোর বিষয়ে জানা যাবে।
১। যে পাত্রে মাংস ওজন করে সেটি একটু আড়ালে রাখে যাতে সরাসরি ওটার ভিতর দেখা না যায় (মাংসের টুকরোগুলো পর্দার মতো এমনভাবে ঝুলিয়ে রাখে যাতে ভিতরে বিক্রেতা কি করছে তা দেখা না যায়)। ঐ পাত্রের ভিতরে আগে থেকেই ১০০/২০০ গ্রামের মতো চর্বি বা হাড়ের টুকরো দিয়ে রাখে। আপনি এক কেজি মাংস কিনলে ১০০/২০০ কম পেলেন। তাই বিক্রেতাকে বলতে হবে পাত্রটি উপুর করে দেখাতে।
২। যে টুকরো গুলো ঝুলানো থাকে তার প্রায় প্রতিটির সাথে উল্টো দিকে আলগা চর্বি বা হাড়ের টুকরো ঝুলানো থাকে। তাই মাংসের টুকরোটি ঘুরিয়ে দেখে নিন।
৩। যে ব্যক্তি মাংস কাটছে তার সম্মুখে কিছু হাড়, অন্যান্য কিছু টুকরো সাজানো থাকে যেটাকে ওদের ভাষায় ছাট বলে। খেয়াল করবেন মাংস মাপার সময় ওখান থেকে খুব দ্রুততার সাথে ১/২ টুকরা দিয়ে দেয়, তার মানে মাংস মাপার সময় ঐটুকু মাংস কম দিয়েছে।
৪। মাংস ব্যবসায়ীরা কিছু শব্দ ব্যবহার করে যার অর্থ অনেকেরই জানা নেই। যেমন-
“নাম আছে” বললে বুঝতে হবে ওজনে কম আছে। সাথে সথে যে পাশে থাকে সে কয়েক টুকরা ছাট মিশিয়ে দেবে।
“ঠোগ গার” বললে বুঝতে হবে হাড়গোড় মেশাবে।
” বস গার” বললে বুঝতে হবে চর্বি মেশাতে বলেছে।
“আকাল কুড়ি” বললে বুঝতে হবে আগের দিনের পুরানো / বা ফ্রিজের মাংস মেশাবে।
৫। মাংস ব্যাগে দেয়ার সময় যখন আড়াল করার চেষ্টা করবে বুঝতে হবে কিছু গরবর করছে।
কাজগুলো এত দ্রুত করে যে সুক্ষ্মভাবে খেয়াল না করলে ধরা যাবে না।
যত পরিচিত লোক হোক বিক্রেতা সুযোগ পেলে এগুলে করবেই। তাই সতর্ক থাকুন।