ধানসিঁড়ি নিউজ অনলাইন ডেস্ক:
জাপানের সবচেয়ে উন্নতমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রোটন থেরাপি দিয়ে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করা হবে বাংলাদেশে। যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর তথা দক্ষিণ এশিয়ার কোন হাসপাতালে নেই। জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রী এবার যেসব চুক্তি করেছেন তার মধ্যে এটি অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে জাপান গ্রিন হসপিটাল সাপ্লাই, জাপান আইচি হসপিটাল লিমিটেড এবং ইএটিএল বাংলাদেশ একটি ক্যান্সার হাসপাতাল, একটি নার্সিং কলেজ এবং একটি ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। দুই দেশের এই চুক্তির মাধ্যমে হাসপাতালটি দেশবাসীর অনেক কষ্ট লাঘব করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রোটন থেরাপি, জাপানে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিরাট পরিবর্তন দেখিয়েছে, যা এই হাসপাতালের মাধ্যমে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। কোনরকম পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়া এই প্রযুক্তি ক্যান্সার-টিউমারের ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধীরে ধীরে সব ধরনের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করতে কাজ শুরু করে প্রোটন থেরাপি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশের অ্যামব্যাসেডর রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রি-পক্ষিয় চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন, জাপান গ্রিন হসপিটাল সাপ্লাই থেকে জনাব হিরোয়িকি কোবায়িশি, জাপান আইচি হসপিটাল লিমিটেড থেকে ডঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, এবং ই এ টি এল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ মুবিন খান।
চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে – জাপান গ্রিন হসপিটাল সাপ্লাই, জাপান আইচি হসপিটাল লিমিটেড এবং ই এ টি এল বাংলাদেশ।
এই চুক্তির আওতায়, জাপান বাংলাদেশে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল, একটি নার্সিং কলেজ এবং একটি মেডিকেল টেকনোলোজি প্রতিষ্ঠান রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
জাপান গ্রিন হসপিটাল সাপ্লাই, জাপান আইচি হসপিটাল লিমিটেড এবং ই এ টি এল বাংলাদেশ এর একটি স্বপ্নের প্রজেক্ট এই ক্যান্সার হাসপাতাল। ঢাকার পূর্বাচলে এই ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের মানুষের কাছে উন্নত প্রযুক্তির সহজলভ্য ক্যান্সার চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া। এই রোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ মেডিকেল জনশক্তি তৈরি, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ক্যান্সার রোগের ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ক্যান্সার রোগ সংক্রান্ত আরও রিসার্চের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ক্যান্সার সচেতনতা ফাউন্ডেশন এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৭টি সেন্টার এ ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। দেশে মাত্র ১৫০ দক্ষ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ১৬ জন শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে। চিকিৎসা পদ্ধতি যা রয়েছে তা হলো, ডুয়াল এনার্জি লিনিয়ার অ্যাক্সেলারেটর্স, কোবাল্ট, ব্র্যাচিথেরাপি, ডিপ এক্স রে এবং টিউবারবিম। রোগ পরীক্ষন, নিরীক্ষণ সংক্রান্ত সুবিধাদির মধ্যে রয়েছে পিইটি সিটি, স্পেক্ট-সিটি, ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফি যা স্টেরিওট্যাকটিক বায়োপসির মাধ্যমে করা হয়।