ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানের পাইলট কাতারে

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০১৯
  • ৩১৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গতকাল বুধবার রাতে বিমানের ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ ঢাকা ছেড়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানটি কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যান পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। আর তাঁর কাছে পাসপোর্ট না থাকায় তাঁকে আটকে দিয়েছে কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট না থাকায় কাতার ইমিগ্রেশনে ফজল মাহমুদকে আটকানো হয়। পরে সেখানে তাঁকে একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানের ফ্লাইট পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যে কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ছাড়ার পূর্বে পাইলট, কেবিন ক্রুদের জেনারেল ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হয়। এই ফরমে পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ, গন্তব্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হয়। এ ছাড়া তাঁদের ব্যক্তিগত পাসপোর্ট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হয়। এরপর বিদেশে পৌঁছানোর পর ওই দেশের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট দেখিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হতে হয়। কিন্তু ফজল মাহমুদ তাঁর পাসপোর্টটি ঢাকা ছাড়ার আগে বিমানের ফ্লাইট অপারেশনের কক্ষের লকারে রেখে যান। এরপর ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করে কাতারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। দুটি বিমান সংস্থায় দুদফা চেষ্টার পরও পাসপোর্টটি পাঠানো যায়নি। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্টটি কাতারে পাঠানো ব্যবস্থা করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ফজল মাহমুদের পরিবর্তে আরও একজন পাইলটকে কাতারে পাঠানো হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক বলেন, ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের পাসপোর্টটি কাতারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বদলে বিকল্প পাইলট কাতারে যাচ্ছেন। যিনি ওখানে রয়ে গেছেন, তাঁর দেশে ফিরে আসতে হলেও তো পাসপোর্টটি পাঠিয়ে দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? এ বিষয়ে বিমান সচিব বলেন, “তাঁকে শাস্তি দিতে হলেও তো পাসপোর্টটি পাঠাতে হবে। তিনি দেশে ফিরে আসার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানের পাইলট কাতারে

আপডেট সময় : ১০:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গতকাল বুধবার রাতে বিমানের ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ ঢাকা ছেড়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানটি কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যান পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। আর তাঁর কাছে পাসপোর্ট না থাকায় তাঁকে আটকে দিয়েছে কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট না থাকায় কাতার ইমিগ্রেশনে ফজল মাহমুদকে আটকানো হয়। পরে সেখানে তাঁকে একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানের ফ্লাইট পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যে কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ছাড়ার পূর্বে পাইলট, কেবিন ক্রুদের জেনারেল ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হয়। এই ফরমে পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ, গন্তব্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হয়। এ ছাড়া তাঁদের ব্যক্তিগত পাসপোর্ট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হয়। এরপর বিদেশে পৌঁছানোর পর ওই দেশের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট দেখিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হতে হয়। কিন্তু ফজল মাহমুদ তাঁর পাসপোর্টটি ঢাকা ছাড়ার আগে বিমানের ফ্লাইট অপারেশনের কক্ষের লকারে রেখে যান। এরপর ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করে কাতারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। দুটি বিমান সংস্থায় দুদফা চেষ্টার পরও পাসপোর্টটি পাঠানো যায়নি। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্টটি কাতারে পাঠানো ব্যবস্থা করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ফজল মাহমুদের পরিবর্তে আরও একজন পাইলটকে কাতারে পাঠানো হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক বলেন, ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের পাসপোর্টটি কাতারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বদলে বিকল্প পাইলট কাতারে যাচ্ছেন। যিনি ওখানে রয়ে গেছেন, তাঁর দেশে ফিরে আসতে হলেও তো পাসপোর্টটি পাঠিয়ে দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? এ বিষয়ে বিমান সচিব বলেন, “তাঁকে শাস্তি দিতে হলেও তো পাসপোর্টটি পাঠাতে হবে। তিনি দেশে ফিরে আসার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’