ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্পাদকীয়

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০১৯
  • ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে

ঐতিহাসিক ৬ দফা ও একটি বাংলাদেশ…

৬ দফা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন।

৬ দফার মূল বক্তব্য ছিল, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

এই ছয় দফার হাত ধরেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ সর্বোপরি চূড়ান্ত স্বাধীনতা সংগ্রামে জন্ম হয়েছিল একখন্ড স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ।

এই দেশ আমার নয়, তোমার নয়, তাহার নয়…, ধর্ম-বর্ণ, দল-মত, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে আমাদের সকলের। এই দেশকে সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা কারোর একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকল অন্যায়, অনিয়ম, অনৈতিকতা ঝেড়ে ফেলে যে যার অবস্থান থেকে সমাজ তথা দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেব –এই হোক সকলের দৃঢ় প্রত্যয়।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

সম্পাদকীয়

আপডেট সময় : ১১:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০১৯

ঐতিহাসিক ৬ দফা ও একটি বাংলাদেশ…

৬ দফা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন।

৬ দফার মূল বক্তব্য ছিল, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

এই ছয় দফার হাত ধরেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১১ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ সর্বোপরি চূড়ান্ত স্বাধীনতা সংগ্রামে জন্ম হয়েছিল একখন্ড স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ।

এই দেশ আমার নয়, তোমার নয়, তাহার নয়…, ধর্ম-বর্ণ, দল-মত, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে আমাদের সকলের। এই দেশকে সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা কারোর একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকল অন্যায়, অনিয়ম, অনৈতিকতা ঝেড়ে ফেলে যে যার অবস্থান থেকে সমাজ তথা দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেব –এই হোক সকলের দৃঢ় প্রত্যয়।