ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়বে গ্যাসের দাম

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯
  • ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বললেন, মিটার হবে প্রি-পেইড….

আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির কারণে এরই মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরো ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো প্রয়োজন হবে। এ অবস্থায় গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে না পারলে ভর্তুকি আরো বাড়বে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ লাইনের সব পুরনো লাইন তুলে নতুন লাইন বসানো এবং সব মিটার প্রি-পেইড করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি গ্যাসের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাবও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসির কাছে দেয়া হয়েছে। বাসাবাড়ি ও আবাসিক ক্ষেত্রে গ্যাস ব্যবহারে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। আমরা একটা বড় প্রকল্প নিচ্ছি ঢাকা শহরসহ সব জায়গায় পুরনো গ্যাস লাইন উঠিয়ে নতুন লাইন করব, সেখানে প্রি-পেইড মিটার বসাব। দুই লাখ গ্যাসের মিটার সংযোগ গেছে। আমরা আবেদন করেছি জাইকাকে সহযোগিতা করার জন্য, প্রি-পেইড গ্যাস মিটার বাসাবাড়িতে ব্যাপকভাবে একশ’ পার্সেন্ট দেয়া যায় কি না, সেটার ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি। এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী গ্যাসের সব মিটার দ্রুতই প্রি-পেইড করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন। গত বছর তোড়জোড় শুরু করেও ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পথ থেকে সরে আসছিল সরকার।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও গৃহস্থালি উভয় ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয় দিয়েছে। সব জায়গায় কিছুটা সমন্বয়ের জন্য বলেছি। আমরা গত বছরের আগস্ট মাস থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করেছি। ১০০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট), ২০০ এমএমসিএফ, ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করেছি। এই গ্যাসের মূল্য আমাদের নিজস্ব গ্যাসের চেয়ে অনেক বেশি। সরকার নিজস্ব গ্যাসের ওপর প্রচুর পরিমাণ সাবসিডি (ভর্তুকি) দেয়। গ্যাসে বছরে ছয় হাজার কোটি টাকার মতো সাবসিডি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, গ্যাসে আমরা ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় করে ফেলেছি। এখন সামনে আরো ১৪ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এই টাকাটা আসবে কোথা থেকে? গ্রাহকের কাছ থেকে তো আগের দামে সেই টাকা আসছে না। সুতরাং যদি সমন্বয় না করা হয়, সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে। বার্ক সরকারের চাহিদামতো দাম সমন্বয় করলেও ভর্তুকি দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমন্বয় না করলে সরকারকে চলতি অর্থবছরে পাঁচ-ছয় হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা টার্গেট অনুযায়ী এগোচ্ছি। কারণ, টার্গেট থেকে আমরা অতিরিক্তই থাকব এবারও বিদ্যুতে। আমাদের টার্গেট হলো ’২১ সাল ধরে, তারপর ’৩০ সাল। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২০৪১ সালের প্ল্যানটা আমরা করে ফেলেছি। ভবিষ্যতের জন্য মাতারবাড়িতে ল্যান্ড-বেইজ টার্মিনাল এবং ল্যান্ড-বেইজ এলপিজি টার্মিনাল- দু’টি পোর্ট হলে গ্যাসের ক্ষেত্রে দাম অনেক সাশ্রয়ী হবে। এলপিজিও সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা বাজারে দিতে পারব। এটা করতে সময় লাগবে। ৪-৫ বছর লাগবে এ ধরনের ডিপ সি টার্মিনাল করতে।
তিনি বলেন, কোল টার্মিনাল করতে বেসরকারিভাবে জাপানের কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। আমরা মাতারবাড়িতে একটি কোল টার্মিনাল করতে চাই। কয়লা এনে ওখানে রাখা হবে, ওখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাবে। এটা নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। মাতারবাড়িতে এক্সটেনশন প্রজেক্ট করার জন্য জাপান আরো দুই বিলিয়ন ডলার দেবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

বাড়বে গ্যাসের দাম

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বললেন, মিটার হবে প্রি-পেইড….

আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির কারণে এরই মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরো ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো প্রয়োজন হবে। এ অবস্থায় গ্যাসের দাম সমন্বয় করতে না পারলে ভর্তুকি আরো বাড়বে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ লাইনের সব পুরনো লাইন তুলে নতুন লাইন বসানো এবং সব মিটার প্রি-পেইড করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি গ্যাসের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাবও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসির কাছে দেয়া হয়েছে। বাসাবাড়ি ও আবাসিক ক্ষেত্রে গ্যাস ব্যবহারে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। আমরা একটা বড় প্রকল্প নিচ্ছি ঢাকা শহরসহ সব জায়গায় পুরনো গ্যাস লাইন উঠিয়ে নতুন লাইন করব, সেখানে প্রি-পেইড মিটার বসাব। দুই লাখ গ্যাসের মিটার সংযোগ গেছে। আমরা আবেদন করেছি জাইকাকে সহযোগিতা করার জন্য, প্রি-পেইড গ্যাস মিটার বাসাবাড়িতে ব্যাপকভাবে একশ’ পার্সেন্ট দেয়া যায় কি না, সেটার ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি। এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী গ্যাসের সব মিটার দ্রুতই প্রি-পেইড করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন। গত বছর তোড়জোড় শুরু করেও ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পথ থেকে সরে আসছিল সরকার।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও গৃহস্থালি উভয় ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রণালয় দিয়েছে। সব জায়গায় কিছুটা সমন্বয়ের জন্য বলেছি। আমরা গত বছরের আগস্ট মাস থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করেছি। ১০০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট), ২০০ এমএমসিএফ, ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করেছি। এই গ্যাসের মূল্য আমাদের নিজস্ব গ্যাসের চেয়ে অনেক বেশি। সরকার নিজস্ব গ্যাসের ওপর প্রচুর পরিমাণ সাবসিডি (ভর্তুকি) দেয়। গ্যাসে বছরে ছয় হাজার কোটি টাকার মতো সাবসিডি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, গ্যাসে আমরা ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় করে ফেলেছি। এখন সামনে আরো ১৪ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এই টাকাটা আসবে কোথা থেকে? গ্রাহকের কাছ থেকে তো আগের দামে সেই টাকা আসছে না। সুতরাং যদি সমন্বয় না করা হয়, সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে। বার্ক সরকারের চাহিদামতো দাম সমন্বয় করলেও ভর্তুকি দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমন্বয় না করলে সরকারকে চলতি অর্থবছরে পাঁচ-ছয় হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা টার্গেট অনুযায়ী এগোচ্ছি। কারণ, টার্গেট থেকে আমরা অতিরিক্তই থাকব এবারও বিদ্যুতে। আমাদের টার্গেট হলো ’২১ সাল ধরে, তারপর ’৩০ সাল। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২০৪১ সালের প্ল্যানটা আমরা করে ফেলেছি। ভবিষ্যতের জন্য মাতারবাড়িতে ল্যান্ড-বেইজ টার্মিনাল এবং ল্যান্ড-বেইজ এলপিজি টার্মিনাল- দু’টি পোর্ট হলে গ্যাসের ক্ষেত্রে দাম অনেক সাশ্রয়ী হবে। এলপিজিও সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা বাজারে দিতে পারব। এটা করতে সময় লাগবে। ৪-৫ বছর লাগবে এ ধরনের ডিপ সি টার্মিনাল করতে।
তিনি বলেন, কোল টার্মিনাল করতে বেসরকারিভাবে জাপানের কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। আমরা মাতারবাড়িতে একটি কোল টার্মিনাল করতে চাই। কয়লা এনে ওখানে রাখা হবে, ওখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাবে। এটা নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। মাতারবাড়িতে এক্সটেনশন প্রজেক্ট করার জন্য জাপান আরো দুই বিলিয়ন ডলার দেবে।