অনলাইন ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে রবিবার ভোরে জেব্রা পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। এ নিয়ে পার্কের সাফারি জোনে পঞ্চম বারের মতো জেব্রার বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে নতুন অতিথিসহ পার্কের জেব্রা পরিবারের সংখ্যা ১৬ তে দাঁড়ালো। এর আগে গত ২৮ মে আরো এক জেব্রা শাবকের জন্ম হয়। জন্মের কিছু সময়ের পর থেকেই নতুন জেব্রা শাবকটিকে মায়ের সাথে সংরক্ষিত এলাকায় বিচরণ করতে দেখা গেছে। নতুন শাবকের আগমনে জেব্রা পরিবার ছাড়াও পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে আনন্দের আবহ।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন জানান, রবিবার ভোরে এই শাবকের জন্মের পর সকাল থেকেই মা জেব্রা তার শাবক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা উভয়েই সুস্থ রয়েছে। জেব্রার প্রধান খাবার ঘাস থাকলেও মা ও তার শাবকের পুষ্টিমানের কথা বিবেচনা করে তাদের খাবারে বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঘাসের পাশাপাশি মা জেব্রাকে ছোলা, গাজর ও ভুসি দেওয়া হচ্ছে। নতুন জন্ম নেওয়া শাবকটি পুরুষ না মাদি তা জানা যায়নি। কেননা জন্মের পর তাদের কাছে যাওয়া যায় না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান জানান, কর্তৃপক্ষের নিবিড় পরিচর্যায় বর্তমানে সাফারি পার্কে দেশীয় পরিবেশে নানা ধরনের বিদেশী প্রাণী হতে নিয়মিত বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় জেব্রা হতে বাচ্চা পাওয়া গেছে। গত মাসেও এখানে আরও একটি জেব্রা শাবকের জন্ম হয়। ধীরে ধীরে সাফারি পার্কটি প্রাণী জন্মের মধ্য দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে। এক সময় হয়ত আর বিদেশ থেকে আর প্রাণী আমদানি করতে হবে না।
জেব্রা ইকুইডি পরিবারের আফ্রিকান চতুষ্পদ স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা সাধারণত ঘোড়ার মতো দেখা গেলেও সাদা-কালো ডোরায় এরা নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। জেব্রা ছোট বড় দল তৈরি করে ঘুরে বেড়ায়, এদের পোষ মানানো যায় না। প্রাপ্ত বয়স্ক একটি জেব্রা ৮ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ওজন ছাড়িয়ে যায় ৩০০ কেজির উপর। ৩ বছর বয়সেই একটি মাদি জেব্রা প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করে। এদের গর্ভকাল হয় ১২-১৩ মাস। সাধারণত বর্ষাকালে জেব্রা বাচ্চা প্রসব করে। জেব্রা ২০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা হতে ১১টি জেব্রা আনা হয়েছিল দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য।