ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তাল পদ্মায় বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
  • ৪০৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। ভাঙনের তাণ্ডব দেখা দিয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে। লৌহজংয়ের সামুরবাড়ী এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। শুধু সামুরবাড়ী এলাকায়ই নয়, পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডব চলছে হারিদিয়া, ডহরী ও বেজগাঁও গ্রামে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় লৌহজংয়ের গাঁওদিয়া, কুমারভোগ ইউনিয়নের শিমুলিয়া বাজার, খড়িয়া গ্রাম, মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রাম, যশলদিয়া গ্রাম, মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাটসহ পদ্মা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী এসব গ্রামের অনেক পরিবার তদের বসতবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া লৌহজং উপজেলার ছয়টি গ্রামের দুটি বাজার, একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের মুখে রয়েছে। সেইসাথে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া, হাসাইল বানারী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতেও পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ভাঙনের মুখে থাকা একাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। টঙ্গিবাড়ীর বড়াইল গ্রামের মাসুম মোল্লা জানান, তিন বছরের ব্যবধানে তাদের পাঁচটি বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে আবার ভাঙন শুরু হওয়ায় বড়াইল গ্রামের সাত শতাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছে, কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।

লৌহজং উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পদ্মা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে প্রতি বছরই কিছুটা ভাঙন দেখা দেয়। তবে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তারপরও সংশ্নিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে জানাতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লৌহজংয়ের গাঁওদিয়া, শামুরবাড়ী ও টঙ্গিবাড়ীর কামারখাড়া এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের লক্ষ্যে তিন কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজ শুরুর পর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

উত্তাল পদ্মায় বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ

বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। ভাঙনের তাণ্ডব দেখা দিয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে। লৌহজংয়ের সামুরবাড়ী এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। শুধু সামুরবাড়ী এলাকায়ই নয়, পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডব চলছে হারিদিয়া, ডহরী ও বেজগাঁও গ্রামে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় লৌহজংয়ের গাঁওদিয়া, কুমারভোগ ইউনিয়নের শিমুলিয়া বাজার, খড়িয়া গ্রাম, মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রাম, যশলদিয়া গ্রাম, মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাটসহ পদ্মা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী এসব গ্রামের অনেক পরিবার তদের বসতবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া লৌহজং উপজেলার ছয়টি গ্রামের দুটি বাজার, একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের মুখে রয়েছে। সেইসাথে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া, হাসাইল বানারী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতেও পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ভাঙনের মুখে থাকা একাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। টঙ্গিবাড়ীর বড়াইল গ্রামের মাসুম মোল্লা জানান, তিন বছরের ব্যবধানে তাদের পাঁচটি বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে আবার ভাঙন শুরু হওয়ায় বড়াইল গ্রামের সাত শতাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছে, কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।

লৌহজং উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পদ্মা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে প্রতি বছরই কিছুটা ভাঙন দেখা দেয়। তবে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তারপরও সংশ্নিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে জানাতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লৌহজংয়ের গাঁওদিয়া, শামুরবাড়ী ও টঙ্গিবাড়ীর কামারখাড়া এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের লক্ষ্যে তিন কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজ শুরুর পর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে।