অনলাইন ডেস্ক: বরগুনায় স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম চন্দন।
স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় গতকাল বুধবার সকালে দিন-দুপুরে রাস্তার ওপর রিফাত শরীফ নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের দুলাল ফরাজীর একমাত্র ছেলে। পরে, এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে রিফাতের বাবা বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়া চন্দন রিফাত হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে চন্দন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ মামলায় অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
বুধবার সকালে, স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে পৌছে দিতে গিয়েছিলেন রিফাত শরীফ। কলেজের গেট পার হতে না হতেই ১০ থেকে ১২ জনের একদল যুবক তাকে পথরোধ করে মারতে মারতে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসে। এরপরই নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরায়েজী ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময়, রিফাতে স্ত্রী মিন্নি রিফাতকে বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।। কিন্ত, ততক্ষণে উপুর্যপরি কোপে মারাত্মকভাবে আহত হয় রিফাত।
পরে, গুরুতর আহত অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সেখান থেকে তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই রিফাত বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ জানান, দুই মাস আগে রিফাত পুলিশ লাইন এলাকার কিশোরের মেয়ে আয়শা আক্তার মিন্নিকে বিয়ে করে। মিন্নিকে প্রেমিকা দাবি করে পশ্চিম কলেজ সড়কের নয়ন নামের এক যুবক মিন্নিকে উত্যক্ত করতে শুরু করে এবং ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে। এ নিয়ে রিফাতের সাথে নয়নের বিরোধীতার সৃষ্টি হয়। এর জেরেই নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও রাব্বি আকন রিফাতকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে যখম করে ফেলে রেখে যায় বলে অভিযোগ করেন রিফাতের বাবা।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে রিফাতের বাড়িতে এখন শোকের মাতম। নিহতের পরিবারের দাবি, নয়ন ও রিফাত ফরায়েজী বরগুনার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী।