নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গড়িয়াপাড় এলাকায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালাম মোল্লার অবৈধ পাঁকা স্থাপনার পাঁচটি দোকানের আরসিসি অবকাঠামো ২৯ জুন, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন,‘সিটি কর্পোরেশনের জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইমতিয়াজ মাহমুদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে উচ্ছেদ অভিযানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সড়ক পরিদর্শক, কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
২৮ জুন, শুক্রবার কর্পোরেশনের সড়ক পরিদর্শক (আরআই) রেজাউল কবির ও মীর মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে যান এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ জানান। এর প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর তার অফিসের মধ্যে বসেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর শুরু করেন। এই ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের সড়ক পরিদর্শক মীর মাসুদ রানা বাদী হয়ে কালাম মোল্লাকে অভিযুক্ত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে কাউন্সিলর কালাম মোল্লা পলাতক রয়েছেন। এয়ারপোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরবিন্দ বিশ্বাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাঞ্ছিত হওয়া সড়ক পরিদর্শক রেজাউল কবির জানান, ‘করপোশেনের কোনও ধরনের অনুমতি ও প্ল্যান ছাড়াই গড়িয়ারপাড় এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে অবৈধভাবে জমি দখল করে বেশ কয়েকটি স্টল তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়। এ সময় কাউন্সিলর কালাম মোল্লা আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা অপর সড়ক পরিদর্শক মাসুদ রানাকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে কেন এবং কার নির্দেশে কাজ বন্ধ করছি, তা জিজ্ঞাসা করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে আমাদের দু’জনের গায়ে হাত তোলে।