ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
  • ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মধ্য রাতে শ্রম অধিদফতরের সভাকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে আন্দোলনরত মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ধর্মঘট স্থগিতের কথা জানান।

নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেল ৫টার দিকে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। রাত ১২টার পর বৈঠক শেষ হয়। শেষে দাবি বাস্তবায়নে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নৌযান শ্রমিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- উৎসব ভাতা প্রদান, গেজেটের মাধ্যমে ছুটি ঘোষণা, নৌযানে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি-ডাকাতি-অপহরণ বন্ধে পদক্ষেপ, সরকারি ব্যবস্থাপনায় কল্যাণ তহবিল ও প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ, নৌযান চলাচলে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের শতভাগ খোরাকি ভাতা ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান ইত্যাদি।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গেজেটে উল্লেখিত যেসব বিষয় বাস্তবায়িত হচ্ছে না, সেগুলো লিখিতভাবে শ্রম মন্ত্রণালয় বা শ্রম অধিদফতরকে জানালে সমাধানের উদ্যোগ নেবে সরকার।

তিনি বলেন, তবে শ্রমিকদের সুষ্ঠু জীবনমানের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন মানবিক বিষয়াদি যা গেজেটে উল্লেখ নেই কিন্তু আগে থেকে কোনো কোনো শ্রেণির নৌযান শ্রমিক পেয়ে আসছে, তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দাবি নামার ১ থেকে ৭ নম্বর দফা ৪৫ দিনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে। ৮ থেকে ১১ নম্বর দফা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানো হবে।

শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব উম্মুল হাছনা, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এবং নৌযান মালিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মধ্য রাতে শ্রম অধিদফতরের সভাকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে আন্দোলনরত মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ধর্মঘট স্থগিতের কথা জানান।

নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেল ৫টার দিকে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। রাত ১২টার পর বৈঠক শেষ হয়। শেষে দাবি বাস্তবায়নে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নৌযান শ্রমিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- উৎসব ভাতা প্রদান, গেজেটের মাধ্যমে ছুটি ঘোষণা, নৌযানে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি-ডাকাতি-অপহরণ বন্ধে পদক্ষেপ, সরকারি ব্যবস্থাপনায় কল্যাণ তহবিল ও প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ, নৌযান চলাচলে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকদের শতভাগ খোরাকি ভাতা ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান ইত্যাদি।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গেজেটে উল্লেখিত যেসব বিষয় বাস্তবায়িত হচ্ছে না, সেগুলো লিখিতভাবে শ্রম মন্ত্রণালয় বা শ্রম অধিদফতরকে জানালে সমাধানের উদ্যোগ নেবে সরকার।

তিনি বলেন, তবে শ্রমিকদের সুষ্ঠু জীবনমানের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন মানবিক বিষয়াদি যা গেজেটে উল্লেখ নেই কিন্তু আগে থেকে কোনো কোনো শ্রেণির নৌযান শ্রমিক পেয়ে আসছে, তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দাবি নামার ১ থেকে ৭ নম্বর দফা ৪৫ দিনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে। ৮ থেকে ১১ নম্বর দফা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানো হবে।

শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব উম্মুল হাছনা, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এবং নৌযান মালিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।