ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
  • ৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ উদ্বোধনের আট মাস পর অবশেষে রাজধানীর চাঁনখারপুলে স্থাপিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ (৫০০ শয্যা) ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’এর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এদিন সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে প্রতিষ্ঠিত এ ইনস্টিটিউটির কার্যক্রম পুরোদমে চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞরা। গত বছরের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৫০০ শয্যার ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ উদ্বোধন করেন। সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুই একর জমির উপর ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়। বিদ্যুৎ পরিসঞ্চালন লাইনের সমস্যা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন ও জনবলের অভাবে এতদিন এটি উদ্বোধন হলেও এটিতে চিকিৎসাসেবা চালু করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, ১৮ তলাবিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউটের মাটির নিচে তিনতলা বেজমেন্ট। সেখানে গাড়ি পার্কিং ও রেডিওলজিসহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রাখা হচ্ছে। ইনস্টিটিউটটিতে ৫০০টি শয্যা, ৫০টি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার ও অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড রয়েছে। আকাশছোঁয়া এ ভবনটিকে তিনটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। একদিকে থাকবে বার্ন ইউনিট, অন্যদিকে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট আর অন্য ব্লকটিতে করা হবে অ্যাকাডেমিক ভবন। দেশে প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি হাসপাতালে হেলিপ্যাড সুবিধা রাখা হচ্ছে।
১৯৮৬ সালে ছয়টি শয্যা নিয়ে দেশে প্রথম বার্ন ইউনিট চালু হয় ঢাকা মেডিকেলে। এটি ৫০ শয্যা করা হয় ১৯৯৬ সালে। আরও ৫০ শয্যা বাড়াতে সময় লাগে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। ২০১৩ সালে সরকার ইউনিটটিকে ইনস্টিটিউট করে ৩০০ শয্যা করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ইউনিটের জনবল ১০০ শয্যার, ওষুধ-পথ্যের জোগানও ১০০ জনের হিসাবে। বাকিটুকু চলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুদান নিয়ে।
একপর্যায়ে সরকারের নির্দেশনায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু হয়।
জন্মগত ঠোঁটকাটা-তালুকাটা, আঙুল জোড়া লাগানো, পায়ের ত্রুটি, ক্যান্সার, দুর্ঘটনা, ট্রমা, হাত-পা সার্জারি রোগীদের একটা বড় অংশ ঢামেক বার্ন ইউনিটে আসে। ৫০০ শয্যার আধুনিক এই ইনস্টিটিউটটি উদ্বোধনের খবরে পোড়া রোগী ও তাদের অভিভাবকদের মনে আশা জেগেছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

অবশেষে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে

আপডেট সময় : ০৮:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ উদ্বোধনের আট মাস পর অবশেষে রাজধানীর চাঁনখারপুলে স্থাপিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ (৫০০ শয্যা) ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’এর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এদিন সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে প্রতিষ্ঠিত এ ইনস্টিটিউটির কার্যক্রম পুরোদমে চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞরা। গত বছরের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৫০০ শয্যার ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ উদ্বোধন করেন। সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুই একর জমির উপর ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হয়। বিদ্যুৎ পরিসঞ্চালন লাইনের সমস্যা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন ও জনবলের অভাবে এতদিন এটি উদ্বোধন হলেও এটিতে চিকিৎসাসেবা চালু করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, ১৮ তলাবিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউটের মাটির নিচে তিনতলা বেজমেন্ট। সেখানে গাড়ি পার্কিং ও রেডিওলজিসহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রাখা হচ্ছে। ইনস্টিটিউটটিতে ৫০০টি শয্যা, ৫০টি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার ও অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড রয়েছে। আকাশছোঁয়া এ ভবনটিকে তিনটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। একদিকে থাকবে বার্ন ইউনিট, অন্যদিকে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট আর অন্য ব্লকটিতে করা হবে অ্যাকাডেমিক ভবন। দেশে প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি হাসপাতালে হেলিপ্যাড সুবিধা রাখা হচ্ছে।
১৯৮৬ সালে ছয়টি শয্যা নিয়ে দেশে প্রথম বার্ন ইউনিট চালু হয় ঢাকা মেডিকেলে। এটি ৫০ শয্যা করা হয় ১৯৯৬ সালে। আরও ৫০ শয্যা বাড়াতে সময় লাগে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। ২০১৩ সালে সরকার ইউনিটটিকে ইনস্টিটিউট করে ৩০০ শয্যা করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ইউনিটের জনবল ১০০ শয্যার, ওষুধ-পথ্যের জোগানও ১০০ জনের হিসাবে। বাকিটুকু চলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুদান নিয়ে।
একপর্যায়ে সরকারের নির্দেশনায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু হয়।
জন্মগত ঠোঁটকাটা-তালুকাটা, আঙুল জোড়া লাগানো, পায়ের ত্রুটি, ক্যান্সার, দুর্ঘটনা, ট্রমা, হাত-পা সার্জারি রোগীদের একটা বড় অংশ ঢামেক বার্ন ইউনিটে আসে। ৫০০ শয্যার আধুনিক এই ইনস্টিটিউটটি উদ্বোধনের খবরে পোড়া রোগী ও তাদের অভিভাবকদের মনে আশা জেগেছে।