ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯
  • ৪২৮ বার পড়া হয়েছে

ধানসিঁড়ি স্বাস্থ্যবার্তাঃ
ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবিদের মতো যেসব রোগজনক শক্তি আমাদেরকে অসুস্থ করে তোলে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তির কাজ। এর পাশাপাশি দূষণ উপাদান এবং বিশেষ কিছু খাবার যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীনতা জনিত রোগ-বালাই সৃষ্টি করে সেসবের বিরুদ্ধে লড়াই করারও এর একটি কাজ।
একটি স্বাস্থ্যকর দেহ গড়ে ওঠে মূলত একটি শক্তিশালি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে। বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও ভালো মতো কাজ করতে সহায়তা করে। এর জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু ধ্বংসাত্মক অভ্যাস এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকতে হবে। আর এটা করা সম্ভব শুধু রোগও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক জীবনাচার অবলম্বন করার মাধ্যমেই।
আসুন কীভাবে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের দেহের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালি করা যায়। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অন্ত্রের মধ্যে শক্তিশালি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জি, সচরাচর সংক্রমণ বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাহীনতা জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার পরিপাকনালীর স্বাস্থ্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এখানেই আপনার দেহের ৮০% রোগপ্রতিরোধী কোষের বসবাস। আমরা যদি অন্ত্রের স্বাস্থ্য শক্তিশালি করতে পারি তাহলেই আমরা কম অসুস্থ হব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়গুলো…
প্রোবায়েটিক নিনঃ
ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়াম হলো এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া পরিবার যেগুলো অন্ত্রে থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। প্রোবায়োটিক অন্ত্রে এসবকে আরও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা এবং তার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালি হয়।
ওষুধ কম খানঃ
টানা এক সপ্তাহ ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রের সেরে উঠতে সময় লাগে অন্তত তিন সপ্তাহ। সুতরাং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ ছাড়া অন্য কোনো অসুস্থতার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়াই ভালো। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালি হবে।
এই সাপ্লিমেন্টগুলো নিয়মিতভাবে গ্রহণ করুন
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালি করতে সহায়ক বেশ কিছু ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। এদের মধ্যে সবার সেরাগুলো হলো- জিঙ্ক, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি পাউডার।
শাল দুধঃ
স্তন্যপায়ী প্রাণিরা সন্তান জন্মদানের পর তাদের স্তন থেকে প্রথম যে দুধটুকু বের হয় তাকেই বলে শাল দুধ। এই দুধ প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ এবং ল্যাকটোফেরিনের মতো প্রদাহরোধী উপাদানে পূর্ণ। প্রাপ্ত-বয়স্করা এই দুধ খেয়ে সহজেই তা থেকে প্রদাহরোধী উপাদান শরীরে গ্রহণ করতে পারবেন এবং এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও আরও শক্তিশালি হবে। প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালি করার সবচেয়ে ভালো উপায়গুলির একটি এটি।
হাড়ের জুসঃ
অর্গানিক হাড়ের জুস খেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থারা ওপর বেশ কয়েকটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যালাটিন, কোলাজেন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং রোগপ্রতিরোধী কোষগুলোকে আরওশক্তিশালি করে।
মাশরুমঃ

মাশরুমে রয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালি ভাইরাসনাশক এবং ক্যান্সাররোধী উপাদানগুলোর বেশ কয়েকটি। ফলে তা রোগ প্রতিরোধী কোষগুলোর ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা বাড়ায়। আর রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তশালি করার সেরা উপায়গুলোরও একটি এটি।
সূর্যের আলোঃ
রোগ প্রতিরোধী কোষগুলো ভিটামিন পেলে বেশ উদ্দীপিত হয়। আর ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে বড় উৎস সূর্যের আলো। ভিটামিন ডি-র ঘাটতির কারণে বারবার ইনফেকশন এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাহীনতা জনিত রোগ হয় বেশি।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

জেনে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়

আপডেট সময় : ০২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯

ধানসিঁড়ি স্বাস্থ্যবার্তাঃ
ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবিদের মতো যেসব রোগজনক শক্তি আমাদেরকে অসুস্থ করে তোলে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তির কাজ। এর পাশাপাশি দূষণ উপাদান এবং বিশেষ কিছু খাবার যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীনতা জনিত রোগ-বালাই সৃষ্টি করে সেসবের বিরুদ্ধে লড়াই করারও এর একটি কাজ।
একটি স্বাস্থ্যকর দেহ গড়ে ওঠে মূলত একটি শক্তিশালি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে। বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও ভালো মতো কাজ করতে সহায়তা করে। এর জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু ধ্বংসাত্মক অভ্যাস এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকতে হবে। আর এটা করা সম্ভব শুধু রোগও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক জীবনাচার অবলম্বন করার মাধ্যমেই।
আসুন কীভাবে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের দেহের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালি করা যায়। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অন্ত্রের মধ্যে শক্তিশালি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জি, সচরাচর সংক্রমণ বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাহীনতা জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার পরিপাকনালীর স্বাস্থ্য বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এখানেই আপনার দেহের ৮০% রোগপ্রতিরোধী কোষের বসবাস। আমরা যদি অন্ত্রের স্বাস্থ্য শক্তিশালি করতে পারি তাহলেই আমরা কম অসুস্থ হব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়গুলো…
প্রোবায়েটিক নিনঃ
ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়াম হলো এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া পরিবার যেগুলো অন্ত্রে থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। প্রোবায়োটিক অন্ত্রে এসবকে আরও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা এবং তার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালি হয়।
ওষুধ কম খানঃ
টানা এক সপ্তাহ ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রের সেরে উঠতে সময় লাগে অন্তত তিন সপ্তাহ। সুতরাং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ ছাড়া অন্য কোনো অসুস্থতার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়াই ভালো। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালি হবে।
এই সাপ্লিমেন্টগুলো নিয়মিতভাবে গ্রহণ করুন
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালি করতে সহায়ক বেশ কিছু ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। এদের মধ্যে সবার সেরাগুলো হলো- জিঙ্ক, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি পাউডার।
শাল দুধঃ
স্তন্যপায়ী প্রাণিরা সন্তান জন্মদানের পর তাদের স্তন থেকে প্রথম যে দুধটুকু বের হয় তাকেই বলে শাল দুধ। এই দুধ প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ এবং ল্যাকটোফেরিনের মতো প্রদাহরোধী উপাদানে পূর্ণ। প্রাপ্ত-বয়স্করা এই দুধ খেয়ে সহজেই তা থেকে প্রদাহরোধী উপাদান শরীরে গ্রহণ করতে পারবেন এবং এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও আরও শক্তিশালি হবে। প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালি করার সবচেয়ে ভালো উপায়গুলির একটি এটি।
হাড়ের জুসঃ
অর্গানিক হাড়ের জুস খেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থারা ওপর বেশ কয়েকটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যালাটিন, কোলাজেন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং রোগপ্রতিরোধী কোষগুলোকে আরওশক্তিশালি করে।
মাশরুমঃ

মাশরুমে রয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালি ভাইরাসনাশক এবং ক্যান্সাররোধী উপাদানগুলোর বেশ কয়েকটি। ফলে তা রোগ প্রতিরোধী কোষগুলোর ব্যাকটেরিয়া নাশক ক্ষমতা বাড়ায়। আর রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তশালি করার সেরা উপায়গুলোরও একটি এটি।
সূর্যের আলোঃ
রোগ প্রতিরোধী কোষগুলো ভিটামিন পেলে বেশ উদ্দীপিত হয়। আর ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে বড় উৎস সূর্যের আলো। ভিটামিন ডি-র ঘাটতির কারণে বারবার ইনফেকশন এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাহীনতা জনিত রোগ হয় বেশি।