ঢাকা ০৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
  • ৫১১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে কয়েক ধাপে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।

সারা দেশে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। ২০ হাজারের মধ্যে পরীক্ষার্থী আছে এমন ৭টি জেলায় প্রথম ধাপে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা মে মাসের মাঝামাঝি হতে পারে। কোন তারিখে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে পরীক্ষা-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই একদিনের মধ্যে নেয়া হবে।

এর আগে গত ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮’ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হওয়ায় এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৬০, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৫, রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭ জন আবেদন করেছেন।

ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। এই হিসাবে আবেদনকৃত প্রার্থীর সংখ্যা এবার দ্বিগুণ। গত নিয়োগে সারাদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬২। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ সেটের বেশি প্রশ্ন তৈরি করা হতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দেয় ডিপিই। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরো কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস নির্ধারণ করবে মন্ত্রণালয়।

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা নিয়ে বুয়েটের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবারও আগের মতই লিখিত ও মৌখিক দুই স্তরেই পরীক্ষা নেয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীরা dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

আপডেট সময় : ০৪:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে কয়েক ধাপে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।

সারা দেশে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। ২০ হাজারের মধ্যে পরীক্ষার্থী আছে এমন ৭টি জেলায় প্রথম ধাপে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা মে মাসের মাঝামাঝি হতে পারে। কোন তারিখে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে পরীক্ষা-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই একদিনের মধ্যে নেয়া হবে।

এর আগে গত ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮’ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হওয়ায় এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৬০, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৫, রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭ জন আবেদন করেছেন।

ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। এই হিসাবে আবেদনকৃত প্রার্থীর সংখ্যা এবার দ্বিগুণ। গত নিয়োগে সারাদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬২। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ সেটের বেশি প্রশ্ন তৈরি করা হতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দেয় ডিপিই। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরো কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস নির্ধারণ করবে মন্ত্রণালয়।

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা নিয়ে বুয়েটের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবারও আগের মতই লিখিত ও মৌখিক দুই স্তরেই পরীক্ষা নেয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীরা dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।