ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হকারের দখলে সড়ক-ফুটপাত, চলাচল বিঘ্নিত

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯
  • ৫৭১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদন : বরিশাল নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক সদর রোড অর্থাৎ জেলখানার মোড় থেকে ফজলুল হক এ্যাভিনিউর মুখ পর্যন্ত।

এই সড়কের দুপাশেই রয়েছে বিভিন্ন অফিস, ব্যাংক, বীমা, অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। টাউন হল, সিনেমা হলও রয়েছে। রয়েছে অসংখ্য ডাক্তারখানা, ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শহরের যে কোনো দিকে যেতে সদরোডের ব্যবহার অধিকতর। আর এ কারণে যানবাহন ও লোকচলাচলের আধিক্যও বেশি। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত এ সড়কটি খুবই ব্যস্ত থাকে।

সড়কের যান চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাস্তার মাঝে ডিভাইডার বসানো হয়েছে। যার কারনে চালকগণ এখন আর এলোপাতাড়ি গাড়ি চালাতে পারে না। যানবাহন রাস্তার পাশেই পার্ক করতে হয়।

এক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভাসমান “হকার”। ফুটপাত এবং রাস্তার অনেকটা দখল করে হরেক রকম পণ্য নিয়ে সকাল থেকে দিনব্যাপী বসে থাকে অনেক হকার, প্যারারা রোডের মুখ থেকে টাউন হলের গেট পর্যন্ত। পণ্য রেখে রাস্তার প্রায় ৩ফুট জায়গা দখল করে। যখন ক্রেতা দাঁড়ায় তখম আরও ২ ফুট দখল হয়। সবমিলিয়ে হকাররা রাস্তার প্রায় ৫ ফুট অবৈধভাবে দখল করে রাখে।

এত ব্যস্ত সড়ক হকার এভাবে দখল করে রাখার কারনে একদিকে যেমন যানবাহন ও লোক চলাচল বিঘ্নিত হয় অপরদিকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

সিটি কর্পোরেশন এই সকল ভাসমান হকারদের এভাবে রাস্তা-ফুটপাত অবৈধভাবে দখলে রেখে পণ্য বেচাকেনা থেকে বিরত বিরত করবেন। প্রয়োজনে তাদের সুনির্দিষ্ট জায়গাায় বসার ব্যবস্থা করে রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করে পথচারী ও যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আন্তরিক হবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

হকারের দখলে সড়ক-ফুটপাত, চলাচল বিঘ্নিত

আপডেট সময় : ১২:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদন : বরিশাল নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক সদর রোড অর্থাৎ জেলখানার মোড় থেকে ফজলুল হক এ্যাভিনিউর মুখ পর্যন্ত।

এই সড়কের দুপাশেই রয়েছে বিভিন্ন অফিস, ব্যাংক, বীমা, অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। টাউন হল, সিনেমা হলও রয়েছে। রয়েছে অসংখ্য ডাক্তারখানা, ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শহরের যে কোনো দিকে যেতে সদরোডের ব্যবহার অধিকতর। আর এ কারণে যানবাহন ও লোকচলাচলের আধিক্যও বেশি। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত এ সড়কটি খুবই ব্যস্ত থাকে।

সড়কের যান চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাস্তার মাঝে ডিভাইডার বসানো হয়েছে। যার কারনে চালকগণ এখন আর এলোপাতাড়ি গাড়ি চালাতে পারে না। যানবাহন রাস্তার পাশেই পার্ক করতে হয়।

এক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভাসমান “হকার”। ফুটপাত এবং রাস্তার অনেকটা দখল করে হরেক রকম পণ্য নিয়ে সকাল থেকে দিনব্যাপী বসে থাকে অনেক হকার, প্যারারা রোডের মুখ থেকে টাউন হলের গেট পর্যন্ত। পণ্য রেখে রাস্তার প্রায় ৩ফুট জায়গা দখল করে। যখন ক্রেতা দাঁড়ায় তখম আরও ২ ফুট দখল হয়। সবমিলিয়ে হকাররা রাস্তার প্রায় ৫ ফুট অবৈধভাবে দখল করে রাখে।

এত ব্যস্ত সড়ক হকার এভাবে দখল করে রাখার কারনে একদিকে যেমন যানবাহন ও লোক চলাচল বিঘ্নিত হয় অপরদিকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

সিটি কর্পোরেশন এই সকল ভাসমান হকারদের এভাবে রাস্তা-ফুটপাত অবৈধভাবে দখলে রেখে পণ্য বেচাকেনা থেকে বিরত বিরত করবেন। প্রয়োজনে তাদের সুনির্দিষ্ট জায়গাায় বসার ব্যবস্থা করে রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করে পথচারী ও যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আন্তরিক হবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা।