অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ক্রমেই বেড়েই চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। শনিবার সকাল ৯টায় নদের ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী চরসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তিস্তা, ঘাঘট নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির স্রোতে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এলাকার লোকজনের মাঝে বন্যা ও ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বসতবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে অনেকে পড়েছেন বিপাকে। তবে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা বা তথ্য এখনও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতাও। এতে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে নদী ভাঙন। ফলে গত দু’সপ্তাহে নদী ভাঙনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের আবাদি জমি, রাস্তাসহ শতাধিক বাড়িঘর এবং শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম জাকির বলেন, দুই বছরে এ ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, গোঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার বসতভিটা, আবাদি জমি, হারিয়েছে। এছাড়াও মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। কোনো প্রতিকার মিলছে না।
শিরোনাম :
- হোম
- Uncategorized
- ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ক্রমেই বিপদ সীমা অতিক্রম করছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ক্রমেই বিপদ সীমা অতিক্রম করছে।
- বার্তা কক্ষ
- আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯
- ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ