ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘পল্লী নিবাসে’ এইচ এম এরশাদের দাফন সম্পন্ন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯
  • ৩২০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:রংপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের ইচ্ছা ও আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত পরিবারিক সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তার প্রিয় ‘পল্লী নিবাসে’ দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ ময়দানে তার চতুর্থ জানাযা শেষে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে কালেক্টর মাঠ থেকে এরশাদের মরদেহ বহনকারী হিম কফিনের গাড়ি বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। তাদের দাবি, ঢাকা নয় রংপুরেই সমাহিত করতে হবে প্রিয় নেতাকে। সেই বিক্ষোভে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন।
এমন বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফনে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে জাতীয় পার্টি এবং এরশাদের পরিবার। সিদ্ধান্ত হয় রংপুরে এরশাদের স্বপ্নে পল্লী নিবাসেই দাফন করা হবে তাকে। এতে সম্মতি জানান তার স্ত্রী রওশন এরশাদও।
বিভ্রান্তি এড়াতে বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়। পার্টি চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতাবোধে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে রংপুরেই দাফন করতে অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ।
পাশাপাশি এরশাদের কবরের পাশে বেগম রওশন এরশাদের জন্য কবরের জায়গা রাখতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
রওশন এরশাদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাদের আবেগ ও অনুরাগেই রংপুরে পল্লীবন্ধুকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ।
শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে গত ২৬ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ফুসফুসে সংক্রমণসহ বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘পল্লী নিবাসে’ এইচ এম এরশাদের দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:রংপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের ইচ্ছা ও আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত পরিবারিক সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তার প্রিয় ‘পল্লী নিবাসে’ দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ ময়দানে তার চতুর্থ জানাযা শেষে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে কালেক্টর মাঠ থেকে এরশাদের মরদেহ বহনকারী হিম কফিনের গাড়ি বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। তাদের দাবি, ঢাকা নয় রংপুরেই সমাহিত করতে হবে প্রিয় নেতাকে। সেই বিক্ষোভে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন।
এমন বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফনে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে জাতীয় পার্টি এবং এরশাদের পরিবার। সিদ্ধান্ত হয় রংপুরে এরশাদের স্বপ্নে পল্লী নিবাসেই দাফন করা হবে তাকে। এতে সম্মতি জানান তার স্ত্রী রওশন এরশাদও।
বিভ্রান্তি এড়াতে বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়। পার্টি চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতাবোধে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে রংপুরেই দাফন করতে অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ।
পাশাপাশি এরশাদের কবরের পাশে বেগম রওশন এরশাদের জন্য কবরের জায়গা রাখতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
রওশন এরশাদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাদের আবেগ ও অনুরাগেই রংপুরে পল্লীবন্ধুকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ।
শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে গত ২৬ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ফুসফুসে সংক্রমণসহ বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।