ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুরভী-৮ লঞ্চ থেকে গার্মেন্টসকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের নিচতলার স্টাফ কেবিন থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত নারী নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী নগরের আদমজী ইপিজেডের অনন্ত অ্যাপারলেস লিমিটেডের একজন অপারেটর ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুরের বড়পুইয়াউটা এলাকার বজলু বেপারির মেয়ে আঁখি আক্তার (২৯)।

আখিঁ আক্তার এর পিতা বজলু বেপারি জানান, আঁখির সঙ্গে আদমজী নগরের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছ। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে সেই সন্তান নানাবাড়ি বাকেরগঞ্জেই থাকে।

তিনি জানান, গ্রামের বাড়িতে ভোটার কার্ডের কাজের জন্য আসার কথা ছিল মেয়ে আঁখির। ১৯ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে এমভি সুরভী-৮ লঞ্চে করে ঢাকার সদরঘাট থেকে আঁখি বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় সে একাই থাকার বিষয়টি তিনি জানতেন। লঞ্চে ওঠার সময় একবার কথা হলেও পরবর্তীতে আর কথা হয়নি।

সকালে সে যথাসময়ে বাড়িতে না এলে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে আঁখির সন্ধানে নামেন স্বজনরা। পরে বরিশাল লঞ্চঘাটে এসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সুরভী-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মেজবাহ উদ্দিনের বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চের নিচতলার স্টাফ (লস্কর) কেবিনে ওঠেন আঁখি আক্তার। এসময় তার সঙ্গী ছিলেন এক যুবক। রাতে ওই দু’জন দু’টি ডেক টিকিটও সংগ্রহ করেন। কিন্তু শনিবার সকালে লঞ্চ ঘাটে পৌঁছালে স্টাফরা ওই কেবিনে গিয়ে আঁখিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পাশাপাশি তার সঙ্গী ওই যুবকের সন্ধান লঞ্চে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ও স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে সুরতহাল প্রতিবেদন করতে গিয়ে আঁখি আক্তার নামে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আলমত পাওয়া গেছে। তবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও মেডিক্যাল পরীক্ষা ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, আঁখির সঙ্গে থাকা যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহ করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত ওই যুবককে আইনের আওতায় আনা ও মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

সুরভী-৮ লঞ্চ থেকে গার্মেন্টসকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের নিচতলার স্টাফ কেবিন থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত নারী নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী নগরের আদমজী ইপিজেডের অনন্ত অ্যাপারলেস লিমিটেডের একজন অপারেটর ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুরের বড়পুইয়াউটা এলাকার বজলু বেপারির মেয়ে আঁখি আক্তার (২৯)।

আখিঁ আক্তার এর পিতা বজলু বেপারি জানান, আঁখির সঙ্গে আদমজী নগরের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছ। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে সেই সন্তান নানাবাড়ি বাকেরগঞ্জেই থাকে।

তিনি জানান, গ্রামের বাড়িতে ভোটার কার্ডের কাজের জন্য আসার কথা ছিল মেয়ে আঁখির। ১৯ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে এমভি সুরভী-৮ লঞ্চে করে ঢাকার সদরঘাট থেকে আঁখি বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় সে একাই থাকার বিষয়টি তিনি জানতেন। লঞ্চে ওঠার সময় একবার কথা হলেও পরবর্তীতে আর কথা হয়নি।

সকালে সে যথাসময়ে বাড়িতে না এলে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে আঁখির সন্ধানে নামেন স্বজনরা। পরে বরিশাল লঞ্চঘাটে এসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সুরভী-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মেজবাহ উদ্দিনের বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চের নিচতলার স্টাফ (লস্কর) কেবিনে ওঠেন আঁখি আক্তার। এসময় তার সঙ্গী ছিলেন এক যুবক। রাতে ওই দু’জন দু’টি ডেক টিকিটও সংগ্রহ করেন। কিন্তু শনিবার সকালে লঞ্চ ঘাটে পৌঁছালে স্টাফরা ওই কেবিনে গিয়ে আঁখিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পাশাপাশি তার সঙ্গী ওই যুবকের সন্ধান লঞ্চে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ও স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে সুরতহাল প্রতিবেদন করতে গিয়ে আঁখি আক্তার নামে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আলমত পাওয়া গেছে। তবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও মেডিক্যাল পরীক্ষা ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, আঁখির সঙ্গে থাকা যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহ করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত ওই যুবককে আইনের আওতায় আনা ও মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হবে।