ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুজব -গণপিটুনি বন্ধে সারাদেশের পুলিশকে বার্তা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯
  • ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে মানুষের মাথা লাগবে- এমন গুজব ডালপালা মেলে শেষে গিয়ে ঠেকেছে ছেলেধরার হাতে। ফলাফল হিসেবে-উদ্ভূত হয়েছে অদ্ভুত এক পরিস্থিতি, দেখা দিয়েছে ছেলেধরা আতঙ্ক। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে স্রেফ সন্দেহের বশে ঘটছে গণপিটুনির ঘটনা। সম্প্রতি কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তি গণপিটুনিতে নিহত হওয়ায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টা নিয়ে দৃশ্যত উদ্বিগ্ন পুলিশও। ছেলেধরার গুজব বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং ব্লগগুলো নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ছেলেধরা-সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিলে বা শেয়ার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-অপারেশন্স) সাঈদ তারিকুল হাসান সারাদেশের পুলিশের ইউনিটকে এই বার্তা পাঠান।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ব্লগ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছেলেধরা-সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক পোস্টে মন্তব্য বা গুজব ছড়ানোর পোস্টে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বার্তায় মোট চারটি উপায়ে ছেলেধরার গুজব ও গণপিটুনি প্রতিরোধে পুলিশের ইউনিটগুলোকে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, স্কুলে অভিভাবক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়. ২. ছুটির পর অভিভাবকরা যাতে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যায় সে বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা. ৩. প্রতিটি স্কুলের ক্যাম্পাসের সামনে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন. ৪. মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের বস্তিতে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও বার্তায় গুজব বন্ধে জনসম্পৃক্ততামূলক কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গুজববিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি, এলাকায় মাইকিং- লিফলেট বিতরণ, মসজিদের ইমামদের ছেলেধরা গুজববিরোধী আলোচনার নির্দেশনা।
এই চিঠির প্রেক্ষিতে পুলিশের কোন ইউনিট কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্সের মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, চিঠিতে গুজব বন্ধে পুলিশের ইউনিটগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশের পুলিশ সদস্যরা গুজব ও গণপিটুনি বন্ধে কাজ শুরু করেছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

গুজব -গণপিটুনি বন্ধে সারাদেশের পুলিশকে বার্তা

আপডেট সময় : ০৩:১১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে মানুষের মাথা লাগবে- এমন গুজব ডালপালা মেলে শেষে গিয়ে ঠেকেছে ছেলেধরার হাতে। ফলাফল হিসেবে-উদ্ভূত হয়েছে অদ্ভুত এক পরিস্থিতি, দেখা দিয়েছে ছেলেধরা আতঙ্ক। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে স্রেফ সন্দেহের বশে ঘটছে গণপিটুনির ঘটনা। সম্প্রতি কয়েকজন নিরীহ ব্যক্তি গণপিটুনিতে নিহত হওয়ায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টা নিয়ে দৃশ্যত উদ্বিগ্ন পুলিশও। ছেলেধরার গুজব বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং ব্লগগুলো নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ছেলেধরা-সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিলে বা শেয়ার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-অপারেশন্স) সাঈদ তারিকুল হাসান সারাদেশের পুলিশের ইউনিটকে এই বার্তা পাঠান।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ব্লগ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছেলেধরা-সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক পোস্টে মন্তব্য বা গুজব ছড়ানোর পোস্টে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বার্তায় মোট চারটি উপায়ে ছেলেধরার গুজব ও গণপিটুনি প্রতিরোধে পুলিশের ইউনিটগুলোকে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, স্কুলে অভিভাবক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়. ২. ছুটির পর অভিভাবকরা যাতে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যায় সে বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা. ৩. প্রতিটি স্কুলের ক্যাম্পাসের সামনে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন. ৪. মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের বস্তিতে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও বার্তায় গুজব বন্ধে জনসম্পৃক্ততামূলক কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গুজববিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি, এলাকায় মাইকিং- লিফলেট বিতরণ, মসজিদের ইমামদের ছেলেধরা গুজববিরোধী আলোচনার নির্দেশনা।
এই চিঠির প্রেক্ষিতে পুলিশের কোন ইউনিট কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্সের মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, চিঠিতে গুজব বন্ধে পুলিশের ইউনিটগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশের পুলিশ সদস্যরা গুজব ও গণপিটুনি বন্ধে কাজ শুরু করেছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।