ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরায় কিশোর গ্যাংয়ের ১১ জন কারাগারে, ৩ জন রিমান্ডে

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
  • ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার ১১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আর অস্ত্র আইনের মামলায় তিনজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন: ইয়াছিন আরাফাত (১৮), আসিফ মাহমুদ (২০), ফরহাদ হোসেন (২১), বিজয় (১৯), শাওন হোসেন সিফাত (২১), ইমামুল হাসান (১৮), তানভীর হাওলাদার (১৮), আকাশ মিয়া (১৮), মেরাজুল ইসলাম জনি (২০), হযরত আলী (১৮) ও রাজীব (১৮)।
অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, বিশু চন্দ্র শীল (২০), নাঈম মিয়া (১৮) ও আল আমিন হোসেন (১৯)। উত্তরা-পূর্ব থানা-পুলিশ আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামিরা সবাই এফএইচবি নামের কিশোর গ্যাং দলের সদস্য।
এর আগে রাজধানীর উত্তরার পূর্ব থানার রাজউক অফিসের প্রধান গেটের সামনে থেকে ২০ জুলাই, শনিবার মধ্যরাতে ‘ফার্স্ট হিটলার বস’ (এফএইচবি) নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের ১৪ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ ঘটনায় র‍্যাব-১ এর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বলা হয়, ১১ আসামির কাছ থেকে ১৬০ পিচ ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা-পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, প্রধান আসামি বিশু চন্দ্র শীল এফএইচবি গ্যাংয়ের নেতা। উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখেন। এই আসামিরা কিশোর ছেলেদের বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে নিজেদের দলভুক্ত করে। নিজেদের স্বার্থে কিশোরদের ব্যবহার করে থাকে। এই কিশোর গ্যাংয়ের অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তিন আসামিকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসিব আল মাহফুজ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, ১১ আসামি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান হিসেবে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

উত্তরায় কিশোর গ্যাংয়ের ১১ জন কারাগারে, ৩ জন রিমান্ডে

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার ১১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আর অস্ত্র আইনের মামলায় তিনজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন: ইয়াছিন আরাফাত (১৮), আসিফ মাহমুদ (২০), ফরহাদ হোসেন (২১), বিজয় (১৯), শাওন হোসেন সিফাত (২১), ইমামুল হাসান (১৮), তানভীর হাওলাদার (১৮), আকাশ মিয়া (১৮), মেরাজুল ইসলাম জনি (২০), হযরত আলী (১৮) ও রাজীব (১৮)।
অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, বিশু চন্দ্র শীল (২০), নাঈম মিয়া (১৮) ও আল আমিন হোসেন (১৯)। উত্তরা-পূর্ব থানা-পুলিশ আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামিরা সবাই এফএইচবি নামের কিশোর গ্যাং দলের সদস্য।
এর আগে রাজধানীর উত্তরার পূর্ব থানার রাজউক অফিসের প্রধান গেটের সামনে থেকে ২০ জুলাই, শনিবার মধ্যরাতে ‘ফার্স্ট হিটলার বস’ (এফএইচবি) নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের ১৪ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ ঘটনায় র‍্যাব-১ এর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বলা হয়, ১১ আসামির কাছ থেকে ১৬০ পিচ ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা-পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, প্রধান আসামি বিশু চন্দ্র শীল এফএইচবি গ্যাংয়ের নেতা। উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখেন। এই আসামিরা কিশোর ছেলেদের বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে নিজেদের দলভুক্ত করে। নিজেদের স্বার্থে কিশোরদের ব্যবহার করে থাকে। এই কিশোর গ্যাংয়ের অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তিন আসামিকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসিব আল মাহফুজ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, ১১ আসামি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান হিসেবে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে।