ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে হত্যাকাণ্ড, জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে…. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে হত্যাকাণ্ড, জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে
‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাদের শাস্তি পেতেই হবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে কতগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। ঘটনাগুলো কারো কাছে কাম্য নয়। সবগুলো নিছক গুজব, এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। আমি এর সঙ্গে জানাতে চাচ্ছি, যারা এই ধরনের গণপিটুনিতে অংশ নেন, একজন যদি এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটান কিংবা ১০০ জনে ঘটান, শাস্তি কিন্তু একই রকম হবে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটালে অবশ্যই আমরা আইনের মুখোমুখি করব। আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজব। এরমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এর পেছনে কী উদ্দেশ আছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, একটা কনফিউশন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই এগুলো। একজন সাধারণ মানুষ, যারা শ্রমিক, অশিক্ষিত লোক তারাও বোঝে ব্রিজ তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগে না। তাহলে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে। এগুলোর নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ আছে। আমরা সবগুলো দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে (পিটিয়ে মানুষ হত্যা) যদি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ থাকে কিংবা কোন অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে কিংবা কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য -যে কারণেই করে থাকুক যে ঘটিয়েছে আমরা তাকে ধরেছি, ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েকদিনে সারাদেশে ৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে আহত হয়েছেন ১৫ জন। মামলা হয়েছে ৯টি, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয়েছে ১৫টি।’
পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরও গ্রেফতার করব। তবে আমরা গণগ্রেপ্তারে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি যিনি অপরাধ করেছেন তাকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব। সে একজন করুক কিংবা ১০ জন করুক কিংবা আরও বেশি মানুষ সম্পৃক্ত থাকুক।’
তিনি বলেন, ‘যারা ঘটনার সত্যতা বিচার না করে নিজেরা আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করব, আপনারা কোন ক্রমেই আইন হাতে তুলে নেবেন। যদি কারো প্রতি কোন সন্দেহ হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করে দিন। কিংবা ৯৯৯ নম্বরে জানান। কিংবা ওই এলাকার সবাইকে জানান।’
‘এরই মধ্যে কয়েকজন এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা বসে নেই, সবগুলো ঘটনাকে সামনে এনে, ভিডিও ফুটেজ দেখে কারা কারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, এগুলোর আইনানুগ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানাতে চাচ্ছি কেউ যেন এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তৈরি না করেন, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হন।’
তিনি বলেন, ‘গত ২০ জুলাই বাড্ডায় মা তার সন্তানকে ভর্তির তথ্য নিতে গিয়ে যে ঘটনার শিকার হল এটা সারাদেশবাসীকে ব্যথিত করেছে, আমরাও এই ঘটনা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। কেন এই ঘটনা ঘটলো? ইতোমধ্যে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। যারা যারা সেখানে ছিল, এই ঘটনার জন্য দায়ী যারা সবাইকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা আমরা নেব ইনশাআল্লাহ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যেন অহেতুক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তেজিত না হয়ে তারা যেন ঘটনাটা জানতে চেষ্টা করে। বুঝতে চেষ্টা করে। এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে তাই সবাইকে সজাগ হতে হবে।’
‘আমরা মসজিদের ইমাম সাহেবদের বলছি, সব জায়গায় বলছি- এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বলতে চাচ্ছি, যারা ফেসবুকে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন…, আমাদের পুলিশ কিন্তু বসে থাকবে না। যারাই ঘটাবেন, তাদের আমরা শনাক্ত করব। তাদের আমরা আইনের মুখোমুখি অবশ্যই করব। আমাদের পুলিশকে এত অদক্ষ ভাববেন না।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘যারা সাইবার ক্রাইম করেছেন, ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যে ক্রাইম করেছেন আমরা অলরেডি কয়েকজনকে শনাক্ত করে অ্যারেস্ট করেছি। সবাই (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) সক্রিয় রয়েছে। যারাই ঘটাবেন, যারাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই প্রচারণা করতে চেষ্টা করবেন, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইবেন অবশ্যই তাকে আইনানুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিসি ও এসপিদের বলে দেয়া হয়েছে তারা যেন খেয়াল রাখেন কোন জায়গায় যেন এই ধরনের গুজব বিস্তার লাভ করতে না পারে। যেখানে গুজব সেখানেই যেন তারা অ্যাকশনে যেতে পারে, সেই ধরনের ইন্সট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
এ সব ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা দেখছেন কি না- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কাছে কী মনে হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন ব্যর্থতা আছে? থাকলে আপনে আমাকে খবর দিতেন, আমি তখনই ব্যবস্থা নিতাম। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতো।’
মামলাগুলোর বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যথাসম্ভব মামলাগুলোর চার্জশিট দিয়ে দেব। তাড়াতাড়ি যাতে বিচার হয়, আমরা সেটারও ব্যবস্থা নেব। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দিলেই যে দ্রুত বিচার হবে তেমন তো কোন কথা নয়, আমরা কত তাড়াতাড়ি দিতে পারি সেটা হল বড় কথা।’

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে হত্যাকাণ্ড, জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে…. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:০০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক: নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে হত্যাকাণ্ড, জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে
‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাদের শাস্তি পেতেই হবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে কতগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। ঘটনাগুলো কারো কাছে কাম্য নয়। সবগুলো নিছক গুজব, এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। আমি এর সঙ্গে জানাতে চাচ্ছি, যারা এই ধরনের গণপিটুনিতে অংশ নেন, একজন যদি এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটান কিংবা ১০০ জনে ঘটান, শাস্তি কিন্তু একই রকম হবে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটালে অবশ্যই আমরা আইনের মুখোমুখি করব। আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজব। এরমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এর পেছনে কী উদ্দেশ আছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, একটা কনফিউশন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই এগুলো। একজন সাধারণ মানুষ, যারা শ্রমিক, অশিক্ষিত লোক তারাও বোঝে ব্রিজ তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগে না। তাহলে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে। এগুলোর নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ আছে। আমরা সবগুলো দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে (পিটিয়ে মানুষ হত্যা) যদি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ থাকে কিংবা কোন অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে কিংবা কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য -যে কারণেই করে থাকুক যে ঘটিয়েছে আমরা তাকে ধরেছি, ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েকদিনে সারাদেশে ৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে আহত হয়েছেন ১৫ জন। মামলা হয়েছে ৯টি, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয়েছে ১৫টি।’
পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরও গ্রেফতার করব। তবে আমরা গণগ্রেপ্তারে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি যিনি অপরাধ করেছেন তাকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব। সে একজন করুক কিংবা ১০ জন করুক কিংবা আরও বেশি মানুষ সম্পৃক্ত থাকুক।’
তিনি বলেন, ‘যারা ঘটনার সত্যতা বিচার না করে নিজেরা আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করব, আপনারা কোন ক্রমেই আইন হাতে তুলে নেবেন। যদি কারো প্রতি কোন সন্দেহ হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করে দিন। কিংবা ৯৯৯ নম্বরে জানান। কিংবা ওই এলাকার সবাইকে জানান।’
‘এরই মধ্যে কয়েকজন এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা বসে নেই, সবগুলো ঘটনাকে সামনে এনে, ভিডিও ফুটেজ দেখে কারা কারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, এগুলোর আইনানুগ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানাতে চাচ্ছি কেউ যেন এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তৈরি না করেন, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হন।’
তিনি বলেন, ‘গত ২০ জুলাই বাড্ডায় মা তার সন্তানকে ভর্তির তথ্য নিতে গিয়ে যে ঘটনার শিকার হল এটা সারাদেশবাসীকে ব্যথিত করেছে, আমরাও এই ঘটনা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। কেন এই ঘটনা ঘটলো? ইতোমধ্যে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। যারা যারা সেখানে ছিল, এই ঘটনার জন্য দায়ী যারা সবাইকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা আমরা নেব ইনশাআল্লাহ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যেন অহেতুক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তেজিত না হয়ে তারা যেন ঘটনাটা জানতে চেষ্টা করে। বুঝতে চেষ্টা করে। এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে তাই সবাইকে সজাগ হতে হবে।’
‘আমরা মসজিদের ইমাম সাহেবদের বলছি, সব জায়গায় বলছি- এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বলতে চাচ্ছি, যারা ফেসবুকে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন…, আমাদের পুলিশ কিন্তু বসে থাকবে না। যারাই ঘটাবেন, তাদের আমরা শনাক্ত করব। তাদের আমরা আইনের মুখোমুখি অবশ্যই করব। আমাদের পুলিশকে এত অদক্ষ ভাববেন না।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘যারা সাইবার ক্রাইম করেছেন, ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যে ক্রাইম করেছেন আমরা অলরেডি কয়েকজনকে শনাক্ত করে অ্যারেস্ট করেছি। সবাই (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) সক্রিয় রয়েছে। যারাই ঘটাবেন, যারাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই প্রচারণা করতে চেষ্টা করবেন, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইবেন অবশ্যই তাকে আইনানুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিসি ও এসপিদের বলে দেয়া হয়েছে তারা যেন খেয়াল রাখেন কোন জায়গায় যেন এই ধরনের গুজব বিস্তার লাভ করতে না পারে। যেখানে গুজব সেখানেই যেন তারা অ্যাকশনে যেতে পারে, সেই ধরনের ইন্সট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
এ সব ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা দেখছেন কি না- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কাছে কী মনে হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন ব্যর্থতা আছে? থাকলে আপনে আমাকে খবর দিতেন, আমি তখনই ব্যবস্থা নিতাম। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতো।’
মামলাগুলোর বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যথাসম্ভব মামলাগুলোর চার্জশিট দিয়ে দেব। তাড়াতাড়ি যাতে বিচার হয়, আমরা সেটারও ব্যবস্থা নেব। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দিলেই যে দ্রুত বিচার হবে তেমন তো কোন কথা নয়, আমরা কত তাড়াতাড়ি দিতে পারি সেটা হল বড় কথা।’