অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ ২৯ জুলাই, সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
তবে মধ্যরাত থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতে দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন হাজারও মানুষ। তারা বলছেন, স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই এ কষ্ট মেনে নেন তারা। কমলাপুরসহ রাজধানীর পাঁচ স্থান থেকে একযোগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
অনলাইনেও টিকিট বিক্রি করা হবে। অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। তাই ঈদে ট্রেনের টিকিট নামের সোনার হরিণ পেতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির আগের রাতেই কমলাপুর রেলস্টেশনে রাতভর অপেক্ষা করছেন অনেক টিকিটপ্রত্যাশী।
গরমের মধ্যেও রেলস্টেশনে কষ্ট করে রাত কাটিয়েছেন তারা। সব কষ্টই উড়ে যাবে যদি হাতে পান সেই কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
একই চিত্র দেখা গেছে বিমানবন্দর রেলস্টেশনেও। রোববার রাত থেকে লাইন ধরেছেন ট্রেনের টিকিটের জন্য।
একজন টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, ঈদে ঝামেলা ছাড়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি যাবেন। টিকিট পেলে এই কষ্ট আর থাকবে না। বরং না পেলে খারাপ লাগবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে বিক্রি হবে যমুনা সেতু হয়ে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেয়া হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। তেজগাঁও স্টেশন থেকে বিক্রি করা হবে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট।
বনানী স্টেশন থেকে বিক্রি হবে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের টিকিট এবং রাজধানীর ফুলবাড়িয়া (পুরনো রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।
২৯ জুলাই বিক্রি হবে ৭ আগস্টের টিকিট, ৩০, ৩১ জুলাই এবং ১ ও ২ আগস্টে বিক্রি হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ আগস্টের টিকিট।
এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে- ৫ আগস্টে ১৪ আগস্টের টিকিট, ৬,৭,৮ ও ৯ আগস্টে বিক্রি হবে যথাক্রমে ১৫,১৬,১৭ ও ১৮ আগস্টের টিকিট।