ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিল্ক ভিটার দুধ উৎপাদন বিপণনে বাধা নেই

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯
  • ৩২৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সংগ্রহ ও বিপণনে হাইকোর্টের পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। স্থগিতাদেশ শুধু মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটার) পক্ষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৯ জুলাই, সোমবার বিকেলে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মিল্ক ভিটার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাঁর সাথে ছিলেন ডিপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ)।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ দিয়েছিলেন সবরকম (বিএসটিআই অনুমোদিত ১৪টি দুধের) বিক্রয়-বিপণন বন্ধ থাকবে। তার বিরুদ্ধে মিল্ক ভিটার পক্ষে আমি আপিল বিভাগে গিয়েছিলাম। আপিল বিভাগ (চেম্বার জজ আদালত) কার্যকারিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে এ আদেশটি শুধু মিল্ক ভিটার জন্য প্রযোজ্য হবে।’’ আইনজীবী মহিউদ্দিন মো. হানিফ বলেন, মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের দেওয়া ওই আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। ফলে মিল্ক ভিটার দুধ উৎপাদন ও বিপণনে আইনগত বাধা থাকলোনা।
২৮ জুলাই, রোববার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণন পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাজারে থাকা এসব দুধ কেনা-বেচায় সতর্ক থাকতেও বলেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
লাইসেন্সধারী সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কি-না, সে বিষয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবের পরীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি শেষে তখন এ আদেশ দেন আদালত। গত ১৪ জুলাই এক আদেশে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা, তা এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করতে চারটি ল্যাবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

মিল্ক ভিটার দুধ উৎপাদন বিপণনে বাধা নেই

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন, সংগ্রহ ও বিপণনে হাইকোর্টের পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। স্থগিতাদেশ শুধু মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটার) পক্ষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৯ জুলাই, সোমবার বিকেলে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মিল্ক ভিটার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাঁর সাথে ছিলেন ডিপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ)।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ দিয়েছিলেন সবরকম (বিএসটিআই অনুমোদিত ১৪টি দুধের) বিক্রয়-বিপণন বন্ধ থাকবে। তার বিরুদ্ধে মিল্ক ভিটার পক্ষে আমি আপিল বিভাগে গিয়েছিলাম। আপিল বিভাগ (চেম্বার জজ আদালত) কার্যকারিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে এ আদেশটি শুধু মিল্ক ভিটার জন্য প্রযোজ্য হবে।’’ আইনজীবী মহিউদ্দিন মো. হানিফ বলেন, মিল্ক ভিটার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের দেওয়া ওই আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। ফলে মিল্ক ভিটার দুধ উৎপাদন ও বিপণনে আইনগত বাধা থাকলোনা।
২৮ জুলাই, রোববার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ উৎপাদন ও বিপণন পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাজারে থাকা এসব দুধ কেনা-বেচায় সতর্ক থাকতেও বলেন আদালত। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
লাইসেন্সধারী সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কি-না, সে বিষয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবের পরীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি শেষে তখন এ আদেশ দেন আদালত। গত ১৪ জুলাই এক আদেশে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা, তা এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করতে চারটি ল্যাবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।