ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হজ্ব পালন করতে গিয়ে আর কোন দিন ফিরবেন না যারা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃস্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন ওরা ২৯ জন। সকলেই আশা করেছিলেন সুস্থ দেহে পবিত্র হজ পালন করে স্বজনদের কাছে আবার ফিরে আসবেন। তাদের অনেকেই ওমরাহ হজ করে আগামী ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য হজ পালনের দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে কেউ মক্কা, কেউ মদিনা আবার কেউবা জেদ্দায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু মূল হজ্ব করার আগে তারা পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন স্থানে তাদের দাফন হয়েছে। তারা আর কেউ স্বজনদের কাছে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে আসবেন না।

গত ৪ জুলাই চলতি বছরের হজ্ব ফ্লাইট শুরু হয়। গতকাল ২ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৬০৬ জন সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মোট হজযাত্রীর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৯ জন বাংলাদেশি হজ্ব যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪ জন মক্কায়, ৪ জন মদিনায় ও ১ জন জেদ্দায় মারা গেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মক্কায় বাংলাদেশ মেডিকেল সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক জানান, হজযাত্রীদের মধ্যে কারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধির কারণেই তারা মারা গেছেন। অধিকাংশেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি।

যারা মারা গেছেন তাদের নামের তালিকাঃ

রাজধানীর পল্লবীর সেলিম (৫৬), বগুড়ার সোনাতলার সালজার রহমান (৬১), কুমিল্লা মুরাদনগরের আবুল হাশেম (৬১), বগুড়া আদমদীঘির এম এস এম আফজাল হোসেন (৬৫), রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাহমিনা নাসরিন (৪৮), কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার মোহাম্মদ মহরম আলী (৬৪), ঢাকা দোহারের আব্দুস সালাম (৫৩), চট্টগ্রামের পটিয়ার মাহমুদুল হক (৬৭), রাজশাহী গোদাবাড়ির কুলসুম বেগম (৬৯), শরীয়তপুরের জাজিরার আব্দুল মান্নান (৭১), কক্সবাজার সদরের শফিউজ্জামান (৬০), কক্সবাজার চকরিয়ার আবু তালেব (৮২), বরিশাল মুলাদীর মো. আব্দুল খালেক (৬৪), নাটোর লালপুরের জাহাঙ্গীর হোসাইন (৬৯), কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের ফয়জুল্লাহ (৬৫), টাঙ্গাইল মির্জাপুরের এম এম লুৎফর রহমান (৬৪), সাতক্ষীরা কলারোয়ার মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (৬২), ময়মনসিংহ ফুলপুরের গোলাম মোস্তফা তালুকদার (৬২), বাগেরহাটের কচুয়ার আব্দুল মালেক শেখ (৭৪), কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মো. আব্দুল জলিল (৭৪), সাতক্ষীরা তালার আনোয়ারা বেগম (৬৯), মাদারীপুর কালকিনির আব্দুল জলিল মিয়া (৭৫), ফেনী সদরের মোহাম্মদ শাহজাহান (৬১), কুমিল্লা বড়ুয়ার আব্দুল বারেক (৬১), গাজীপুর সদরের মো. আবুল হোসাইন (৬৫), নরসিংদী সদরের মোহাম্মদ আলী (৬১), সিরাজগঞ্জের কামার পাড়ার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (৭০), নওগাঁর পত্নীতলার মো. আফসার আলী (৮৯) এবং বরিশালের উজিরপুরের মজিবুর রহমান খান (৬৩)।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

হজ্ব পালন করতে গিয়ে আর কোন দিন ফিরবেন না যারা

আপডেট সময় : ০৩:৩২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃস্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন ওরা ২৯ জন। সকলেই আশা করেছিলেন সুস্থ দেহে পবিত্র হজ পালন করে স্বজনদের কাছে আবার ফিরে আসবেন। তাদের অনেকেই ওমরাহ হজ করে আগামী ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য হজ পালনের দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে কেউ মক্কা, কেউ মদিনা আবার কেউবা জেদ্দায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু মূল হজ্ব করার আগে তারা পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন স্থানে তাদের দাফন হয়েছে। তারা আর কেউ স্বজনদের কাছে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে আসবেন না।

গত ৪ জুলাই চলতি বছরের হজ্ব ফ্লাইট শুরু হয়। গতকাল ২ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৬০৬ জন সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মোট হজযাত্রীর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৯ জন বাংলাদেশি হজ্ব যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪ জন মক্কায়, ৪ জন মদিনায় ও ১ জন জেদ্দায় মারা গেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মক্কায় বাংলাদেশ মেডিকেল সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক জানান, হজযাত্রীদের মধ্যে কারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধির কারণেই তারা মারা গেছেন। অধিকাংশেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি।

যারা মারা গেছেন তাদের নামের তালিকাঃ

রাজধানীর পল্লবীর সেলিম (৫৬), বগুড়ার সোনাতলার সালজার রহমান (৬১), কুমিল্লা মুরাদনগরের আবুল হাশেম (৬১), বগুড়া আদমদীঘির এম এস এম আফজাল হোসেন (৬৫), রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাহমিনা নাসরিন (৪৮), কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার মোহাম্মদ মহরম আলী (৬৪), ঢাকা দোহারের আব্দুস সালাম (৫৩), চট্টগ্রামের পটিয়ার মাহমুদুল হক (৬৭), রাজশাহী গোদাবাড়ির কুলসুম বেগম (৬৯), শরীয়তপুরের জাজিরার আব্দুল মান্নান (৭১), কক্সবাজার সদরের শফিউজ্জামান (৬০), কক্সবাজার চকরিয়ার আবু তালেব (৮২), বরিশাল মুলাদীর মো. আব্দুল খালেক (৬৪), নাটোর লালপুরের জাহাঙ্গীর হোসাইন (৬৯), কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের ফয়জুল্লাহ (৬৫), টাঙ্গাইল মির্জাপুরের এম এম লুৎফর রহমান (৬৪), সাতক্ষীরা কলারোয়ার মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (৬২), ময়মনসিংহ ফুলপুরের গোলাম মোস্তফা তালুকদার (৬২), বাগেরহাটের কচুয়ার আব্দুল মালেক শেখ (৭৪), কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মো. আব্দুল জলিল (৭৪), সাতক্ষীরা তালার আনোয়ারা বেগম (৬৯), মাদারীপুর কালকিনির আব্দুল জলিল মিয়া (৭৫), ফেনী সদরের মোহাম্মদ শাহজাহান (৬১), কুমিল্লা বড়ুয়ার আব্দুল বারেক (৬১), গাজীপুর সদরের মো. আবুল হোসাইন (৬৫), নরসিংদী সদরের মোহাম্মদ আলী (৬১), সিরাজগঞ্জের কামার পাড়ার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (৭০), নওগাঁর পত্নীতলার মো. আফসার আলী (৮৯) এবং বরিশালের উজিরপুরের মজিবুর রহমান খান (৬৩)।