ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেন্দিগঞ্জে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এ এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার উলানিয়া, চানপুর, চরএককরিয়া, মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ৫টি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে মেঘনা তীরবর্তী আলীগঞ্জ বাজার এলাকা, উত্তরচর বটতলা এলাকা, চানপুর ঝোরখালী এলাকা, সদর ইউনিয়নের রুকুন্দী এলাকার শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে নদীতীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলো। ভাঙনের তীব্রতায় পাল্টে যাচ্ছে উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের মানচিত্র।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপরে উল্লেখিত গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, তিনটি বাজার, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ এবং শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়া পথে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সীমান্তে ধূলখোলার মেঘনার পারে সবচেয়ে বড় আলীগঞ্জ বাজার এখন নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনেকেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। হুমকির মুখে রয়েছে হিজলা পি. এন. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশিঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসা, আলীগঞ্জ বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শত শত ঘরবাড়ি। পালপাড়া গ্রামের কৃষক খোরশেদ তালুকদার বলেন, আমাদের অনেক ধানি জমি ও বসত বাড়ি ছিল, সব ধানি জমি আর বসত বাড়ি মেঘনা নদীর ভাঙনে সব শেষ হইয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনে এ উপজেলার শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে মেঘনা নদীতে ব্লক বসিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবী।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

মেহেন্দিগঞ্জে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছ

আপডেট সময় : ১২:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এ এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার উলানিয়া, চানপুর, চরএককরিয়া, মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ৫টি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে মেঘনা তীরবর্তী আলীগঞ্জ বাজার এলাকা, উত্তরচর বটতলা এলাকা, চানপুর ঝোরখালী এলাকা, সদর ইউনিয়নের রুকুন্দী এলাকার শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে নদীতীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলো। ভাঙনের তীব্রতায় পাল্টে যাচ্ছে উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের মানচিত্র।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপরে উল্লেখিত গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, তিনটি বাজার, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ এবং শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়া পথে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সীমান্তে ধূলখোলার মেঘনার পারে সবচেয়ে বড় আলীগঞ্জ বাজার এখন নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনেকেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। হুমকির মুখে রয়েছে হিজলা পি. এন. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশিঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসা, আলীগঞ্জ বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শত শত ঘরবাড়ি। পালপাড়া গ্রামের কৃষক খোরশেদ তালুকদার বলেন, আমাদের অনেক ধানি জমি ও বসত বাড়ি ছিল, সব ধানি জমি আর বসত বাড়ি মেঘনা নদীর ভাঙনে সব শেষ হইয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনে এ উপজেলার শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে মেঘনা নদীতে ব্লক বসিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবী।