ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টও মিন্নিকে জামিন দেননি

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০১৯
  • ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে নিম্ন আদালতে কয়েকবার জামিন আবেদন করে সাড়া না পাওয়া মিন্নি হাইকোর্টে এসেও ব্যর্থ হলেন। তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
আদালতে মিন্নির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির।
মঙ্গলবার মিন্নির জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ ‘বিস্তারিত শুনানির কথা বলে বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে দেন।
ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না। আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম সঙ্গে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।
পরে আইনজীবী জেডআই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনটি বিস্তারিত শুনবেন বলে আজ শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য বললে আদালত বলেছেন কার্যতালিকায় আসবে।
ওইদিন মিন্নির জামিন পাওয়ার যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী জেডআই খান পান্না বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় তার জামিন পাওয়ার অধিকার আছে। তিনি এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেফতার ও আসামি করা হয়েছে।
২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে।
পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়। ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পর দিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মিন্নিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানায় পুলিশ। বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এবং জেলা ও দায়েরা জজ আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিন্নি।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

হাইকোর্টও মিন্নিকে জামিন দেননি

আপডেট সময় : ০৭:২৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে নিম্ন আদালতে কয়েকবার জামিন আবেদন করে সাড়া না পাওয়া মিন্নি হাইকোর্টে এসেও ব্যর্থ হলেন। তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
আদালতে মিন্নির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির।
মঙ্গলবার মিন্নির জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ ‘বিস্তারিত শুনানির কথা বলে বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে দেন।
ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না। আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম সঙ্গে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।
পরে আইনজীবী জেডআই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনটি বিস্তারিত শুনবেন বলে আজ শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য বললে আদালত বলেছেন কার্যতালিকায় আসবে।
ওইদিন মিন্নির জামিন পাওয়ার যুক্তি তুলে ধরে আইনজীবী জেডআই খান পান্না বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় তার জামিন পাওয়ার অধিকার আছে। তিনি এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেফতার ও আসামি করা হয়েছে।
২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে।
পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়। ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পর দিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মিন্নিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানায় পুলিশ। বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এবং জেলা ও দায়েরা জজ আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিন্নি।