ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নির্ঘুম মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৯
  • ৯০০ বার পড়া হয়েছে

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-আযহা। নাড়ির টানে, মাটির টানে অসংখ্য মানুষ দক্ষিনাঞ্চলের ঈদ যাত্রায় সামিল হয়েছে। এই যাত্রায় বিগত বছরগুলোতে গভীররাতে লঞ্চে আসা যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে বিভিন্ন হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে অভ্যন্তরীণ পরিবহনের হাতে। কিন্তু এবারে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর আন্তরিকতায় তা নেই বল্লেই চলে। শান্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস স্ট্যান্ডে যেতে পারছেন বিনামূল্যের বাস সার্ভিসে। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সৌজন্যে এই ফ্রি বাস সার্ভিস চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে। শুধু ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেই দায়িত্ব শেষ করেননি মেয়র। সে সবের তদারকি করে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন জনপ্রিয় এই নগরপিতা। নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০টিরও বেশি বাস এই সেবা প্রদানে নিয়োজিত করা হয়েছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এমন অবিস্মরণীয় সেবা পেয়ে খুশি গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। মেয়রের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বরিশালে আসা যাত্রীদের অভ্যন্তরীণ পরিবহনে একদিকে যেমন অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হতো অপরদিকে গভীর রাতে যাতায়াতে নানা আতঙ্ক থাকতো। কিন্তু সিটি করপোরেশনর ফ্রি বাস সার্ভিসের কারণে যাত্রীরা স্বস্তিতে যেতে পারছেন।
মেয়রের এই ব্যতীক্রম ধর্মী জনসেবা সকলকে মুগ্ধ করেছে।
ফ্রি বাস সার্ভিসের কারণে যাত্রীরা অন্য পরিবহন চালকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেলো। রাত ১২টা থেকেই লঞ্চঘাট এলাকায় নিজে মোটর সাইকেল চালিয়ে এসে যাত্রীদের সাথে কথা বলছেন সিটি মেয়র সাদিক। কুশল বিনিময়, যাত্রাপথে কোন বিড়ম্বনা আছে কিনা, হয়রানির শিকার হচ্ছেন কিনা-এমনসব খোঁজখবরও নেন সাদিক। শুধু লঞ্চঘাট নয় নথুল্লাবাদ ও রুপাতলীতেও গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, এবারের ঈদে সরকারি ও বেসরকারি ২৬টি নৌ-যান ঈদ স্পেশাল সেবা প্রদান করছেন। প্রতি ঘন্টায় বরিশাল নদী বন্দরে এসে ভিড়ছে যাত্রীবাহি নৌযান। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব ও সাদা পোশাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। দায়িত্ব পালন করছে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রয়েছে সিভিল সার্জণের উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প। ওদিকে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সবগুলো ইউনিট দফায় দফায় সমন্বয় সভা করে গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করছে। আর কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, যাত্রী নিয়ে প্রতিযোগীতা করলে সেসব লঞ্চকে বরিশাল নৌ-বন্দরে বেধে রাখা হবে। মেয়র জানান, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ আমার মেহমান। কারও অবহেলায় তাদের বিড়ম্বণা বা ক্ষতি হবে তা বরদাস্ত করা হবে না।
ঈদ আনন্দের। আনন্দের ঈদ সড়ক পথে বা নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগীতায় ম্লান হতে দেওয়া হবে না। এজন্য মেয়র বাস মালিক সমিতির নেতাদেরও নির্দেশনা দিয়েছেন। জানা গেছে, ঈদ আনন্দে বাড়ি ফেরা এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার সময় সবার নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সারাদিন ও সারারাত তিনি নগরী ঘুরে বেড়াবেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নির্ঘুম মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় : ০১:১৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৯

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-আযহা। নাড়ির টানে, মাটির টানে অসংখ্য মানুষ দক্ষিনাঞ্চলের ঈদ যাত্রায় সামিল হয়েছে। এই যাত্রায় বিগত বছরগুলোতে গভীররাতে লঞ্চে আসা যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে বিভিন্ন হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে অভ্যন্তরীণ পরিবহনের হাতে। কিন্তু এবারে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর আন্তরিকতায় তা নেই বল্লেই চলে। শান্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস স্ট্যান্ডে যেতে পারছেন বিনামূল্যের বাস সার্ভিসে। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সৌজন্যে এই ফ্রি বাস সার্ভিস চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে। শুধু ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেই দায়িত্ব শেষ করেননি মেয়র। সে সবের তদারকি করে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন জনপ্রিয় এই নগরপিতা। নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০টিরও বেশি বাস এই সেবা প্রদানে নিয়োজিত করা হয়েছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এমন অবিস্মরণীয় সেবা পেয়ে খুশি গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। মেয়রের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বরিশালে আসা যাত্রীদের অভ্যন্তরীণ পরিবহনে একদিকে যেমন অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হতো অপরদিকে গভীর রাতে যাতায়াতে নানা আতঙ্ক থাকতো। কিন্তু সিটি করপোরেশনর ফ্রি বাস সার্ভিসের কারণে যাত্রীরা স্বস্তিতে যেতে পারছেন।
মেয়রের এই ব্যতীক্রম ধর্মী জনসেবা সকলকে মুগ্ধ করেছে।
ফ্রি বাস সার্ভিসের কারণে যাত্রীরা অন্য পরিবহন চালকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেলো। রাত ১২টা থেকেই লঞ্চঘাট এলাকায় নিজে মোটর সাইকেল চালিয়ে এসে যাত্রীদের সাথে কথা বলছেন সিটি মেয়র সাদিক। কুশল বিনিময়, যাত্রাপথে কোন বিড়ম্বনা আছে কিনা, হয়রানির শিকার হচ্ছেন কিনা-এমনসব খোঁজখবরও নেন সাদিক। শুধু লঞ্চঘাট নয় নথুল্লাবাদ ও রুপাতলীতেও গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, এবারের ঈদে সরকারি ও বেসরকারি ২৬টি নৌ-যান ঈদ স্পেশাল সেবা প্রদান করছেন। প্রতি ঘন্টায় বরিশাল নদী বন্দরে এসে ভিড়ছে যাত্রীবাহি নৌযান। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব ও সাদা পোশাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। দায়িত্ব পালন করছে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রয়েছে সিভিল সার্জণের উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প। ওদিকে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সবগুলো ইউনিট দফায় দফায় সমন্বয় সভা করে গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করছে। আর কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, যাত্রী নিয়ে প্রতিযোগীতা করলে সেসব লঞ্চকে বরিশাল নৌ-বন্দরে বেধে রাখা হবে। মেয়র জানান, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ আমার মেহমান। কারও অবহেলায় তাদের বিড়ম্বণা বা ক্ষতি হবে তা বরদাস্ত করা হবে না।
ঈদ আনন্দের। আনন্দের ঈদ সড়ক পথে বা নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগীতায় ম্লান হতে দেওয়া হবে না। এজন্য মেয়র বাস মালিক সমিতির নেতাদেরও নির্দেশনা দিয়েছেন। জানা গেছে, ঈদ আনন্দে বাড়ি ফেরা এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার সময় সবার নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সারাদিন ও সারারাত তিনি নগরী ঘুরে বেড়াবেন।