ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানের ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটকে রেখেছে সৌদি ইমিগ্রেশন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন লাইন নিউজ ডেস্ক: হাজীদের ফিরতি ফ্লাইট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার কাজে সৌদিতে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৭১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেশটির ইমিগ্রেশন আটক করে রেখেছে। তাদেরকে জেদ্দা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সৌদিতে বিমানের স্টেশন সূত্র যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, এবারের ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমানের ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিসা দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত ৭ আগস্ট যাওয়ার শর্তে ভিসা দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিমানের ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত তারিখে যাননি। তারা রোববার বিমানের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা পৌঁছান। এ সময় সৌদি ইমগ্রেশন তাদেরকে আটকে দেয়। নির্ধারিত তারিখে না যাওয়ায় সেটিকে অবৈধ বলে ওই ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সোমবারের মধ্যে তাদেরকে ফেরত না আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও আলটিমেটাম দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি কর্তৃপক্ষ ওই ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটক করে বলেছে, তোমরা অবৈধ। তোমাদেরকে ডিপোর্টকরে দিলাম। পরে তাদেরকে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে রোববার ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও আনা যায়নি। পরে সোমবার বিমানের একটি ফ্লাইটের অন্য যাত্রীদের নামিয়ে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানায় সৌদিতে অবস্থিত বিমানের স্টেশন সূত্র।
বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (কাস্টমার সার্ভিস) নুরুল ইসলাম হাওলাদার সূত্রে জানা গেছে, হাজীদের ফিরতি ফ্লাইটের কাজে প্রতিবছর ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই যান। প্রতিবছর আরাফাতের দিনেই পাঠানো হয়। এবারও আরাফাতের দিনেই পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাদের এন্ট্রি তারিখ ছিল ৭ আগস্ট। এজন্য তাদের আটকে রেখেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদেরকে ফেরত না এনে সেখানে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগেও বিমানের অব্যবস্থাপনার কারণে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। এবারও একই ঘটনার পুরাবৃত্তি হলো।
অভিযোগ রয়েছে, হাজীদের ফিরতি ফ্লাইটের কাজে যতজন সৌদিতে পাঠানোর কথা তার চেয়ে অতিরিক্ত লোক পাঠাচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এবং সেখানে তারা গিয়ে চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে বিমানের স্টেশনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায় তারা।
সূত্র: যুগান্তর

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

বিমানের ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটকে রেখেছে সৌদি ইমিগ্রেশন

আপডেট সময় : ১২:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন লাইন নিউজ ডেস্ক: হাজীদের ফিরতি ফ্লাইট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার কাজে সৌদিতে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৭১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেশটির ইমিগ্রেশন আটক করে রেখেছে। তাদেরকে জেদ্দা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সৌদিতে বিমানের স্টেশন সূত্র যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, এবারের ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমানের ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিসা দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। গত ৭ আগস্ট যাওয়ার শর্তে ভিসা দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিমানের ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত তারিখে যাননি। তারা রোববার বিমানের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা পৌঁছান। এ সময় সৌদি ইমগ্রেশন তাদেরকে আটকে দেয়। নির্ধারিত তারিখে না যাওয়ায় সেটিকে অবৈধ বলে ওই ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সোমবারের মধ্যে তাদেরকে ফেরত না আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও আলটিমেটাম দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি কর্তৃপক্ষ ওই ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটক করে বলেছে, তোমরা অবৈধ। তোমাদেরকে ডিপোর্টকরে দিলাম। পরে তাদেরকে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিকে রোববার ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও আনা যায়নি। পরে সোমবার বিমানের একটি ফ্লাইটের অন্য যাত্রীদের নামিয়ে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানায় সৌদিতে অবস্থিত বিমানের স্টেশন সূত্র।
বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (কাস্টমার সার্ভিস) নুরুল ইসলাম হাওলাদার সূত্রে জানা গেছে, হাজীদের ফিরতি ফ্লাইটের কাজে প্রতিবছর ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই যান। প্রতিবছর আরাফাতের দিনেই পাঠানো হয়। এবারও আরাফাতের দিনেই পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাদের এন্ট্রি তারিখ ছিল ৭ আগস্ট। এজন্য তাদের আটকে রেখেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদেরকে ফেরত না এনে সেখানে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগেও বিমানের অব্যবস্থাপনার কারণে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। এবারও একই ঘটনার পুরাবৃত্তি হলো।
অভিযোগ রয়েছে, হাজীদের ফিরতি ফ্লাইটের কাজে যতজন সৌদিতে পাঠানোর কথা তার চেয়ে অতিরিক্ত লোক পাঠাচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এবং সেখানে তারা গিয়ে চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে বিমানের স্টেশনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায় তারা।
সূত্র: যুগান্তর