ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চার দাবি না মানা হলে প্রত্যাবাসন নয়

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, বসতভিটাসহ সম্পদ ফেরত ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত না হলে মিয়ানমার ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গারা। প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার সরকারের তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে এমন দাবি জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শালবাগানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) মোহাম্মদ খালেদ হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে নির্মিত ক্যাম্প ইনচার্জের হলরুমে সাক্ষাত্কার দিতে আসেন রোহিঙ্গারা। সিআইসি মোহাম্মদ খালেদ হোসেন জানান, মিয়ানমারে ফেরত যাবার বিষয়ে মতামত জানানোর কথা ছিল তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের। একেকটি পরিবার আলাদাভাবে সাক্ষাত্কার দিতে আসেন। প্রায় প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা অভিন্ন দাবি জানিয়েছেন। এসব দাবি মানা হলে তারা যেকোনো সময়ই ফিরে যেতে প্রস্তুত বলে জানান।
সাক্ষাত্কার দিয়ে বের হয়ে আসা মুহাম্মদ রিয়াজ (৩২), রশিদ আমিন (৪৫) ও হোসেন আহমদ (৫২) গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা দোদুল্যমান অবস্থায় মিয়ানমারে ফেরত যেতে চাই না। মিয়ানমারে আমাদের ওপর চালানো নিপীড়নের বিচার করতে হবে, সম্পত্তি ফেরতের পাশাপাশি নাগরিকত্ব দিতে হবে। এরপরই আমরা ফেরত যাব।’ প্রসঙ্গত, আগামীকাল ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।
রাখাইনে সেনাবাহিনী, বিজিপি ও উগ্রপন্থি রাখাইন যুবকদের নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাত্কার নিতে গতকাল উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে আসে মিয়ানমার সরকার গঠিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ (আইসিআই) নামে একটি টিম। তারা বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের ৬টি ব্লকের বিভিন্ন বাসস্থান ঘুরে দেখে। একই সঙ্গে জামতলী ক্যাম্পও পরিদর্শন করে তারা। কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফিলিপাইনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোজারিও মানালো। এ দলটি ফিরে গেলে ‘এভিডেন্স কালেকশন এবং ভেরিফিকেশন’ নামের আরো একটি প্রতিনিধি দল ক্যাম্পে আসবে বলে জানা গেছে

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

চার দাবি না মানা হলে প্রত্যাবাসন নয়

আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, বসতভিটাসহ সম্পদ ফেরত ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত না হলে মিয়ানমার ফিরতে নারাজ রোহিঙ্গারা। প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার সরকারের তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে এমন দাবি জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শালবাগানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) মোহাম্মদ খালেদ হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে নির্মিত ক্যাম্প ইনচার্জের হলরুমে সাক্ষাত্কার দিতে আসেন রোহিঙ্গারা। সিআইসি মোহাম্মদ খালেদ হোসেন জানান, মিয়ানমারে ফেরত যাবার বিষয়ে মতামত জানানোর কথা ছিল তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের। একেকটি পরিবার আলাদাভাবে সাক্ষাত্কার দিতে আসেন। প্রায় প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা অভিন্ন দাবি জানিয়েছেন। এসব দাবি মানা হলে তারা যেকোনো সময়ই ফিরে যেতে প্রস্তুত বলে জানান।
সাক্ষাত্কার দিয়ে বের হয়ে আসা মুহাম্মদ রিয়াজ (৩২), রশিদ আমিন (৪৫) ও হোসেন আহমদ (৫২) গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা দোদুল্যমান অবস্থায় মিয়ানমারে ফেরত যেতে চাই না। মিয়ানমারে আমাদের ওপর চালানো নিপীড়নের বিচার করতে হবে, সম্পত্তি ফেরতের পাশাপাশি নাগরিকত্ব দিতে হবে। এরপরই আমরা ফেরত যাব।’ প্রসঙ্গত, আগামীকাল ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।
রাখাইনে সেনাবাহিনী, বিজিপি ও উগ্রপন্থি রাখাইন যুবকদের নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাত্কার নিতে গতকাল উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে আসে মিয়ানমার সরকার গঠিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ (আইসিআই) নামে একটি টিম। তারা বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের ৬টি ব্লকের বিভিন্ন বাসস্থান ঘুরে দেখে। একই সঙ্গে জামতলী ক্যাম্পও পরিদর্শন করে তারা। কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফিলিপাইনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোজারিও মানালো। এ দলটি ফিরে গেলে ‘এভিডেন্স কালেকশন এবং ভেরিফিকেশন’ নামের আরো একটি প্রতিনিধি দল ক্যাম্পে আসবে বলে জানা গেছে