ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্লুলেস ডাকাতির রহস্য উদঘাটন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:১০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৩০ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ক্লুলেস দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ ডাকাতসদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (২২ আগষ্ট) দুপুর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম(বার)।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানাধীন টুঙ্গিবাড়িয়ার ধোপাকাঠি এলাকার একটি বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের সদস্যরা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। যে ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর) প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তদন্তে নামে। ক্লুলেস ওই ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে এ পর্যন্ত একে একে ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইন, বিষ্ফোরকদ্রব্য আইন, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এছাড়াও ডাকাত সদস্যদের দেয়া তথ্যানুযায়ী আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যারা ডাকাত সদস্যদের লুন্ঠিত চোরাই স্বর্ণ দীর্ঘদিন ধরে ক্রয় করে আসছিলো। আটককৃতরা হলো বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়ালের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে ছালাম হাওলাদার (৩৫), একই উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কাটাদিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হাওলাদার (৩০), বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ি এলাকার মোঃ মান্নান শেখের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল শেখ (৪০), উজিরপুর উপজেলার উত্তর লস্করপুর এলাকার মৃত কাশেম বেপারীর ছেলে মোঃ মাছুম বেপারী (৩৫), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা এলাকার মৃত আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মোঃ খলিল হাওলাদার (৩৫)সহ ৬ জন।
এছাড়া ডাকাত সদস্যদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ফরাজি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও চোরাইস্বর্নের ক্রেতা আশিষ কর্মকার (৩০) এবং একই উপজেলা সদরের কর্মকার পট্টির হৃদয় জুয়েলার্সের অশোক কর্মকার (৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সকলেই আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ৩২ ইঞ্চি একটি এলইডি টেলিভিশন, ১ ভরি ৫ রত্তি স্বর্ণ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, দা, সেলাই রেঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, শাপল, বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্লুলেস এ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উম্মোচন ও ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর) প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরী কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে পারাবত লঞ্চে অভিযান চালিয়ে ৯ হাজার ৮শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে ওই ঘটনার সূত্র ধরে আরো ১৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

ক্লুলেস ডাকাতির রহস্য উদঘাটন

আপডেট সময় : ১২:১০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯

বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ক্লুলেস দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ ডাকাতসদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (২২ আগষ্ট) দুপুর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম(বার)।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানাধীন টুঙ্গিবাড়িয়ার ধোপাকাঠি এলাকার একটি বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদলের সদস্যরা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। যে ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর) প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তদন্তে নামে। ক্লুলেস ওই ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে এ পর্যন্ত একে একে ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইন, বিষ্ফোরকদ্রব্য আইন, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এছাড়াও ডাকাত সদস্যদের দেয়া তথ্যানুযায়ী আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যারা ডাকাত সদস্যদের লুন্ঠিত চোরাই স্বর্ণ দীর্ঘদিন ধরে ক্রয় করে আসছিলো। আটককৃতরা হলো বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়ালের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে ছালাম হাওলাদার (৩৫), একই উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কাটাদিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হাওলাদার (৩০), বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ি এলাকার মোঃ মান্নান শেখের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল শেখ (৪০), উজিরপুর উপজেলার উত্তর লস্করপুর এলাকার মৃত কাশেম বেপারীর ছেলে মোঃ মাছুম বেপারী (৩৫), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা এলাকার মৃত আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মোঃ খলিল হাওলাদার (৩৫)সহ ৬ জন।
এছাড়া ডাকাত সদস্যদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ফরাজি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও চোরাইস্বর্নের ক্রেতা আশিষ কর্মকার (৩০) এবং একই উপজেলা সদরের কর্মকার পট্টির হৃদয় জুয়েলার্সের অশোক কর্মকার (৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সকলেই আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ৩২ ইঞ্চি একটি এলইডি টেলিভিশন, ১ ভরি ৫ রত্তি স্বর্ণ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, দা, সেলাই রেঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, শাপল, বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্লুলেস এ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উম্মোচন ও ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর) প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরী কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে পারাবত লঞ্চে অভিযান চালিয়ে ৯ হাজার ৮শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে ওই ঘটনার সূত্র ধরে আরো ১৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।